এসএ গেমসে খেলা হচ্ছে না মানস-রুমির

কদিন আগেই আদালত থেকে নির্দেশনা এসেছে দুই টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মানস চৌধূরী ও মৌমিতা আলম রুমিকে জাতীয় দল নির্বাচন প্রক্রিয়ায় রাখার। কিন্তু বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা যা বললেন, তাতে দুজনের দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের এবারের আসরে খেলার সুযোগ নেই।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Nov 2019, 02:11 PM
Updated : 23 Nov 2019, 02:11 PM

নেপালের কাঠমাণ্ডু-পোখারায় আগামী ১ ডিসেম্বর শুরু হবে এসএ গেমসের ত্রয়োদশ আসর। ২৭টি ডিসিপ্লিনের মধ্যে ২৫টিতে অংশ নিবে বাংলাদেশ। গতবার মেয়েদের দলগত টিটি থেকে এসেছিল ব্রোঞ্জ। দলের হয়ে খেলেছিলেন রুমি।

জাতীয় টেনিসে ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন মানস পেশায় একজন দন্ত চিকিৎসক। আর রুমি চারবারের চ্যাম্পিয়ন ও র‌্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর খেলোয়াড়, পেশায় তিনি শিক্ষক। পেশাগত কারণে দুজনে অনুশীলনে নিয়মিত উপস্থিত থাকতে পারছিলেন না। ব্যক্তিগত উদ্যোগে চালিয়ে নিচ্ছিলেন অনুশীলন। দুজনের দাবি ছিল এসএ গেমসের দলে সরাসরি নয়, সিলেকশন পর্বে অংশ রাখার। নির্বাচিত হলে এসএ গেমসে খেলার।

কিন্তু তাদের সিলেকশন পর্বে খেলার সুযোগ না দিয়ে টেবিল টেনিস ফেডারেশন জানিয়ে দিয়েছিল-অনুশীলনে না থাকলে জাতীয় দল থেকে বাদ। এ কারণে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তারা। শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে মানস ও রুমির প্রসঙ্গে বিওএ মহাসচিব আদালতের রায় ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন।

“আমি পত্রিকার মাধ্যমে এটা দেখেছি। কিন্তু এ বিষয়ে অফিসিয়ালি আমাদের কাছে কোনো কিছু আসেনি। আর এখন নতুন করে কোনো খেলোয়াড়কে পাঠানোর সুযোগ নেই। কেননা, আপনারা জানেন যখন একটা ইন্টারন্যাশনাল টুর্নামেন্ট হয়, সেখানে বাই-নেম এন্ট্রি করার একটা সময় থাকে। সেটা শেষ হয়ে গেলে সেখানে নতুনভাবে কাউকে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ নাই। আদালতের রায়কে আমরা সবসময় সম্মানের চোখে দেখি। কিন্তু এটা আমাদের কাছে এসে এখনও পৌঁছায়নি। ভবিষ্যতে আমরা নিশ্চয় এটা মূল্যায়ন করব।”

“আমাদের বক্তব্য একটাই ছিল, ট্রেনিং কমিটি থেকে আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম,  যারাই দলের সঙ্গে যাবে, অংশগ্রহণ করবে, তাদের ট্রেনিংয়ে থাকতে হবে। দুই বেলা ট্রেনিংয়ে আপনি থাকবেন না, অথচ ট্রেনিংয়ে যারা ভালো করছে তাদের বাদ দিয়ে…আপনি বাইরে থেকে বলবেন আমি গতবার ভালো খেলেছি আমাকে সুযোগ দিতে হবে….মাঠে আসো, প্র্যাকটিস করো, প্র্যাকটিসের মধ্যে দিয়ে, কম্পিটিশনের মধ্যে যারা আসবে তারাই পাবে সুযোগ।”

“আমিও একমত, অনেকে অনেক পেশায় জড়িত। কিন্তু পেশায় থাকলেও তো আপনাকে একবার ট্রেনিংয়ে আসতে হবে। এখন আমি চিটাগংয়ে বসে যদি বলি আমাকে সুযোগ করে দিতে হবে, সেটা হবে না। যুব গেমসের মাধ্যমে নতুন নতুন খেলোয়াড় বেরিয়ে আসছে। এখন তাদের আগে যে গোল্ড মেডেল পেয়েছে, তাকে আমি সম্মান করি, ভালো খেলোয়াড়কে আমি সবসময় মূল্যায়ন করি। কিন্তু দলের মধ্যে যারা ভালো করছে তাদের সঙ্গে কম্পিটিশন করে তো আপনাকে আসতে হবে।”