বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) বুধবার দলবদলের শেষ দিনে ঘর গুছিয়ে নিয়েছে আবাহনী। আয়োজন অবশ্য সাদামাটা! ঢাক-ঢোল, বাদ্য-বাজনা নেই। বাফুফেতে তালিকা পাঠিয়ে নীরবে সেরে নিয়েছে কাজ।
মেইলসন ছাড়াও মিশরের ডিফেন্ডার আলাদিন ইসা ও জার্মান বংশোদ্ভূত মিডফিল্ডার এডগার বেয়ার্নহার্টকে দলে ভিড়িয়েছে আবাহনী। গত মৌসুমে রক্ষণ সামলানো তপু বর্মন এবার পাড়ি জমিয়েছেন বসুন্ধরা কিংসে। তার জায়গায় বসুন্ধরা থেকে নাসিরউদ্দিন চৌধুরীকে নিয়েছে আবাহনী।
আবাহনী থেকে দলছুট হয়েছেন আতিকুর রহমান ফাহাদ (বসুন্ধরা কিংস), ইমতিয়াজ সুলতান জিতু (শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব)। ২০ গোল নিয়ে গত লিগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা, হাইতির ফরোয়ার্ড কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্ট রয়ে গেছেন আবাহনীর আক্রমণভাগে।
রক্ষণে রয়ে গেছেন রায়হান হাসান, ওয়ালী ফয়সাল ও টুটুল হোসেন বাদশা। আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রূপুও জানালেন দলবদলে ডিফেন্স জমাট রাখার দিকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার কথা।
“গতবার অনেকগুলো গোল করলেও আমরা গোল খেয়েছি অনেক বেশি। আমাদের ডিফেন্সে সমস্যা ছিল। দল গড়ার সময় চেষ্টা করেছি এই সমস্যাটা যাতে না থাকে। এ জন্য দু’জন বিদেশী ডিফেন্ডার নেয়া হয়েছে। গতবারের চেয়ে এবারের দল অনেক ভাল। গতবার আমরা লিগ শুরু করেছিলাম ৫জন ইনজ্যুরড খেলোয়াড় নিয়ে। এবার সেই সমস্যা নেই।”
আবাহনী দল: শহিদুল আলম সোহেল, রায়হান হাসান, ওয়ালী ফয়সাল, নাসিরউদ্দিন চৌধূরী, টুটুল হোসেন বাদশা, মামুনুল ইসলাম, সোহেল রানা, প্রাণতোষ কুমার দাস, নাবীব নেওয়াজ জীবন, সানডে চিজোবা, রুবেল মিয়া, জুয়েল রানা, আতিকুর রহমান মিশু, মামুন মিয়া, সাদউদ্দিন, সোহেল রানা (জুনিয়র), এডগার বার্নহার্ডট, আলাদিন ইসা, মেইলসন আলভেস, কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্ট, নাজিম উদ্দিন, নাইম মিয়া, মোহম্মদ হৃদয়, দীপক রায়, সুলতান আহমেদ শাকিল, আরাফাত হোসেন তাসিন, ফয়সান আহমেদ, মোহাম্মদ প্রান্ত, শাকির আহমেদ ও শামীম হোসেন।