আগামী বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ২৭টি দেশের আর্চারদের নিয়ে শুরু হবে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপসের ২১তম আসর। ছেলে-মেয়ে মিলিয়ে ১৫ জনের দল নিয়ে এ টুর্নামেন্টে অংশ নেবে বাংলাদেশ।
আগামী ১ ডিসেম্বর নেপালের কাঠমাণ্ডু ও পোখারায় শুরু হবে এসএ গেমসের ত্রয়োদশ আসর। ২৭টি ডিসিপ্লিনের মধ্যে ২৫টিতে অংশ নিবে বাংলাদেশ। আর্চারি তার একটি। ২০১৬ সালের এসএ গেমসে সোনা-রুপা-ব্রোঞ্জ মিলিয়ে জেতা ৭০টি পদকের মধ্যে ৬টি এসেছিল আর্চারি থেকে। মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে চপল জানালেন নেপালের এসএ গেমসই মূল লক্ষ্য তাদের।
“থাইল্যান্ডের আসর আমাদের জন্য প্রস্তুতিমূলক প্রতিযোগিতা। বড় বড় দেশের আর্চারদের সঙ্গে খেলে আমাদের অবস্থা জানা যাবে। ওখানে এক সপ্তাহ খেলার পর যে ভুল-ভ্রান্তিগুলো হবে, ২৯ নভেম্বর থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফেরার পর সেগুলো নিয়ে কাজ করা হবে। এরপর ৩ ডিসেম্বর নেপালে রওনা দেবে দল।”
“নেপালে ঠাণ্ডা হওয়ার কারণে থাইল্যান্ড থেকে সরাসরি দল সেখানে যাবে না। নভেম্বরের শেষের দিকে আমাদের দেশেও হালকা ঠাণ্ডা পড়তে শুরু করবে। তাই থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে একটু মানিয়ে নিয়ে নেপালে যাবে।”
এসএ গেমসে এবার বেশ কয়েকটি ইভেন্টে ভারত অংশ নিবে না বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর। এর মধ্যে আর্চারি একটি। তবে এতে নিজেদের কোনো লাভ দেখছেন না চপল। নেপালে পদক জেতার চাপও দিতে চাইছেন না রোমানদের ওপর।
“ভারতকে এখন আর আমরা ভয় পাই না। ওরা খেলুক বা না খেলুক, আমাদের কপালে যেটা আছে, আমরা সেটা পাবই।”
“শ্রীলঙ্কা-ভুটান-নেপালের আর্চারি দলের বিদেশি কোচ আছে। দেশের বাইরেও অনেকে অনুশীলন করে। তাদের খাটো করে দেখা যাবে না। ভারত না থাকায় সুবিধা হয়েছে-এই বার্তা পেলে আর্চাররা গা ভাসিয়ে দিতে পারে, তখন কিন্তু ফল আসবে না। এসএ গেমস থেকে শূন্য হাতে ফিরতে হবে।”
“পদকের প্রত্যাশা অবশ্যই আছে কিন্তু পদক আসবে মাঠে। টেবিলে বসে বলা যাবে না। খেলোয়াড়দেরকে আমরা কোনো চাপ দিতে চাই না। তাদের প্রতি বার্তা থাকবে, সুস্থ্য থাকো; যাও এবং ভালো খেলো। ভালো খেললে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আসবেই।”