সৌদি আরবের কিং সাউদ ইউনিভার্সিটি স্টেডিয়ামে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত এগারোটায় প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা।
জুলাইয়ে কোপা আমেরিকার সেমি-ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হেরেই শিরোপা স্বপ্ন ভেঙেছিল লিওনেল মেসি ও আর্জেন্টিনার। পরে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে চিলির বিপক্ষে লাল কার্ড দেখেছিলেন সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার। ব্রাজিল ম্যাচ দিয়ে তিনি ফিরছেন আন্তর্জাতিক ফুটবলে।
প্রতিযোগিতাটি চলার সময়-ই দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবল কনফেডারেশনের (কনমেবল) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় আন্তর্জাতিক ফুটবলে তিন মাস নিষিদ্ধ হন মেসি। কোপা আমেরিকার আয়োজক ও রেফারিরা ব্রাজিলকে শিরোপা জেতাতে ‘দুর্নীতি করেছে’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
সাবেক এই দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মুখোমুখি দেখা মানেই উত্তেজনায় ঠাসা লড়াই। সেখানে সবশেষ ম্যাচের ফল, মাঠে ও মাঠের বাইরের ঘটনা এবং মেসির ওই মন্তব্য ম্যাচটিকে ঘিরে ছড়াচ্ছে বাড়তি উন্মাদনা। ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার জেসুসের কাছে যেমন, আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচ মানেই বিশেষ কিছু।
“এমন উঁচু মানের একটা ম্যাচ খেলতে পারা সবসময়ই দারুণ কিছু-ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা ম্যাচ ফুটবলের সবচেয়ে বড় ধ্রুপদী লড়াই।”
এই ‘সুপার ক্লাসিকোয়’ ক্লাব সতীর্থ আগুয়েরো ও ওতামেন্দির মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন জেসুস। দেশকে জয়ের উপলক্ষ্য এনে দিতে ক্লাবের দুই বন্ধুকে মাঠের লড়াইয়ে কোনোরকম ছাড় দিতে রাজি নন তরুণ এই স্ট্রাইকার।
“ওতামেন্দির সঙ্গে কথা বলেছি-তার সঙ্গে মজা করছিলাম আমি। আমি বলেছি, সে যদি আমাকে ধাক্কা দেয় তাহলে আমিও তাকে তা ফিরিয়ে দিব।”
“যখন ক্লাবে একসঙ্গে থাকি তখন আমরা সবাই একই লক্ষ্যে কাজ করি। এখন আমি আমার দেশের প্রতিনিধিত্ব করব, তারা করবে তাদের দেশের। তারা তাদের সেরাটা দিক, তবে এখানে ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে।”