২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ সালের এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে বৃহস্পতিবার স্বাগতিক ওমানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়।
শক্তির বিবেচনায় গ্রুপে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দলগুলোর একটি ওমান। তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে তারা। ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে কাতার। গ্রুপে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গোল দেওয়া দলের তালিকায় তারা দ্বিতীয় (৬ গোল) স্থানে। তিন ম্যাচে দুই হার ও এক ড্রয়ে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ১ পয়েন্ট, সবশেষ ম্যাচে স্বাগতিক ভারতের সঙ্গে ড্র করেছিল তারা।
ফিফা স্বীকৃত পরিসংখ্যানে ওমানের সঙ্গে একবারই মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। ১৯৮২ সালে পাকিস্তানের করাচিতে হওয়া প্রীতি ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতেছিল ওমান। ফিফার র্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে ওমান (৮৪তম); বাংলাদেশ ১৮৪তম)।
ম্যাচটাও প্রতিপক্ষের মাঠে। তবে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য মাসের শুরুর দিকেই সেখানে গেছে দল। নানা ঝক্কি ঝামেলার পর দেশটিতে পৌঁছে জীবন-জামালদের নিয়ে কাজ শুরু করেন ডে। ম্যাচের আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ জানালেন ভালো ফল পাওয়ার আশাবাদ।
“সব ম্যাচে আমাদের ইচ্ছা থাকে কঠোর পরিশ্রম করার। গোছালো ও ছন্দময় খেলা উপহার দেওয়ার। যতদূর বলা যায়, আমাদের সেট-আপটাও ভালো হয়েছে। এ কারণে আমরা পরিকল্পনাতে খুব বেশি পরিবর্তন আনতে চাই না।”
“গত ম্যাচগুলোয় সুযোগ নষ্ট হয়েছে। ওমান ম্যাচে আমরা আরও সুযোগ তৈরি এবং তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে পারি। এ কাজগুলো অনুশীলনেও করা হয়েছে। এছাড়া আমাদের রক্ষণ জমাট রাখতে হবে। রক্ষণে যারা তরুণ, তাদের প্রতি আমার বার্তা-খেলাটা উপভোগ করো এবং সেরাটা দাও।”
নিজেদের মাঠে খেলা ওমানকে এগিয়ে রাখছেন ডে। তবে ভারত ও কাতার ম্যাচে ইয়াসিন-ইব্রাহিমদের পারফরম্যান্স দেখে আশাবাদী কোচ।
“আমি মনে করি, গত দুই ম্যাচে আমরা আসলেই ভালো খেলেছি। ছেলেদের পারফরম্যান্স ছিল চমৎকার। তবে ওমান ম্যাচ এ পর্যন্ত খেলা ম্যাচগুলোর চেয়ে কঠিন হবে। কেননা, তারা ভালো দল এবং আমরাও প্রতিপক্ষের মাঠে খেলব।”
“টেকনিক্যালি আমাদের চেয়ে ভালো ওমানের বিপক্ষে খেলা খুবই কঠিন হবে। তাই আমার চাওয়া থাকবে, সম্প্রতি আমরা যে পর্যায়ের ফুটবল খেলছি, সেটার ধারাবাহিকতা ধরে রাখা এবং যখন সুযোগ আসবে, সেটা কাজে লাগানো। তাহলে ভালো কিছু সম্ভব।”