নিজেদের মাঠে রোববার সেরি আয় ইউভেন্তুসের ১-০ গোলে জয়ের ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে তুলে নেওয়া হয় রোনালদোকে। বেঞ্চে না বসে মুখ ভার করে ‘সিআর সেভেন’ সোজা চলে যান ড্রেসিংরুমে। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সেখান থেকে স্টেডিয়ামও ছাড়েন ম্যাচ শেষের আগে।
পাঁচবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের এমন আচরণের কারণে তার কড়া সমালোচনা করেছেন রিয়াল মাদ্রিদ, ইউভেন্তুস ও ইংল্যান্ডের সাকে কোচ ফাবিও কাপেলো।
স্কাই স্পোর্টস ইতালিয়াকে ৭৩ বছর বয়সী এই ইতালিয়ান কোচ বলেন, “গত তিন বছরে রোনালদো ড্রিবল করে একজন খেলোয়াড়কে কাটাতে পারেনি…তাকে তুলে নিয়ে সাররি ঠিক করেছে। তাছাড়া সে মাঠ ছেড়ে বেঞ্চে যায়নি, এটা ভালো দিক নয়।”
রোনালদোর ছন্দে না থাকার কারণ হিসেবে চোটের কথা বলেছেন সাররি। তিনি জানান, এক মাস আগে অনুশীলনে সাবেক রিযাল মাদ্রিদ তারকা হাঁটুতে ব্যথা পেয়েছিলেন। মাঝে মধ্যে অনুশীলনে সে ব্যথা অনুভব করে বলেও জানান কোচ।
“সে কঠিন অনুশীলন করতে পারে না এবং বলে কিক নেওয়ার সময় সমস্যা অনুভব করে।”
এছাড়া সে ঊরু ও পায়ের মাংশপেশিতেও সমস্যা অনুভব করে বলে জানান সাররি। পুরোপুরি ফিটনেস ফিরে পেতে কিছুটা সময় নেওয়ার চেয়ে এই স্ট্রাইকার খেলা চালিয়ে যেতে অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নিয়েছিল কি না-সেই প্রশ্নও এখন উঠছে।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে রোনালদো বলতে গেলে তেমন বড় কোনো চোটে পড়েননি। সবচেয়ে লম্বা সময় তিনি মাঠের বাইরে ছিলেন ২০০৮ সালে। তখন হাঁটুতে চোট পেয়ে ৯৪ দিন ছিলেন বাইরে। মিস করেছিলেন ১১টি ম্যাচ।
পরের বছর গোড়ালির গাঁটে চোট পেয়ে বাইরে ছিলেন ৯ ম্যাচ। ২০১৬ সালের ইউরো ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে আবারও হাঁটুতে চোট পেয়ে ছিটকে যান তিনি।
২০১৪ বিশ্বকাপের সময় বাঁ-হাটুর সমস্যায় ভুগছিলেন রোনালদো। এরপরও ঝুঁকি নিয়ে পর্তুগালের হয়ে খেলেছিলেন সব ম্যাচ।
ফুটবল বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ট্রান্সফারমার্কেট’-এর তথ্য অনুযায়ী, চোটের কারণে পুরো ক্যারিয়ারে মাত্র ৫৩টি ম্যাচ মিস করেছেন রোনালদো।
ম্যাচে পুরোটা সময় খেলতে না পারলে রোনালদোর মতো শীর্ষ পর্যায়ের একজন খেলোয়াড়ের খারাপ লাগা স্বাভাবিক বলে মনে করেন সাররি।
আগামী কয়েক দিনে ইউরো ২০২০ বাছাইয়ের শেষ ধাপে লিথুয়ানিয়া ও লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে খেলবে পর্তুগাল। দলকে মূল পর্বে তোলার পাশাপাশি ব্যক্তিগত এক মাইলফলক ছোঁয়ার হাতছানিও আছে রোনালদোর সামনে। ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে জাতীয় দলের জার্সিতে গোলের সেঞ্চুরি ছোঁয়ার কীর্তি গড়তে আর মাত্র পাঁচ গোল চায় সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলারের।