জাতীয় ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাউন্ডে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে সোমবার ইনিংস ও ৩২ রানে জিতেছে অলক কাপালীর দল। সিলেটের এটি দ্বিতীয় জয়।
প্রথম ইনিংসে ১৬২ রানে গুটিয়ে যাওয়া বরিশাল এবার ১২৮ রানেই শেষ। নিজেদের একমাত্র ইনিংসে ৩২২ রান করেছিল সিলেট। ইনিংস পরাজয় এড়াতে ১৪৮ রান করতে হতো বরিশালের, হাতে ছিল ৯ উইকেট।
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক উইকেটে ১২ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করা বরিশাল দিনের প্রথম বলেই উইকেট হারায়, আশরাফুলকে এলবিডব্লিউ করেন ইবাদত। পানি পানের বিরতির আগে বিদায় নেন আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান অধিনায়ক ফজলে মাহমুদ। কিছুটা প্রতিরোধ আসে শাহরিয়ার নাফিস ও নুরুজ্জামানের ৩৯ রানের জুটিতে। অভিজ্ঞ নাফিসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন শাহানুর রহমান। নিজের পরের ওভারে নুরুজ্জামানকে এলবিডব্লিউ করেন ২৩ বছর বয়সী এই ডানহাতি অফ স্পিনার।
৭৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বরিশাল। শেষ ব্যবটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন সোহাগ গাজী। ৪.১ ওভারে ৫ রান খরচায় শেষ চার উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় সেশনেই তাদেরকে গুটিয়ে দেন নাসুম।
প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট পাওয়া ইবাদত এবার নিয়েছেন ২৮ রানে ৩টি। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে।
দেড় দিন হাতে রেখে বড় ব্যবধানে হেরেও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে বরিশাল। এক জয় ও দুই ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ২৪.৪৭। দুটি করে জয় ও পরাজয়ে ২২.৫৪ পয়েন্ট নিয়ে সিলেট আছে দ্বিতীয় স্থানে।
দ্বিতীয় স্তরের অন্য ম্যাচে একই দিন চট্টগ্রামকে ইনিংস ও ৬৪ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে ঢাকা মেট্রো। সাথে দুই ড্র ও এক হারে তাদের পয়েন্ট ১৭.৮। ১৭.৪২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তলানীতে চট্টগ্রাম।
আগামী শনিবার শুরু হবে পঞ্চম রাউন্ডের খেলা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বরিশাল ১ম ইনিংস: ১৬২
সিলেট ১ম ইনিংস: ৩২২
বরিশাল ২য় ইনিংস: ৪৫.১ ওভারে ১২৮ (আগের দিন ১২/১) (আশরাফুল ২, মাহমুদ ১১, নাফিস ৩২, নুরুজ্জামান ২৫, গাজী ৩৭, সালমান ১২, শামসুল ০, মনির ০, রাব্বি ২, তানভির ০*; ইবাদত ১২-১-২৮-৩, আবু জায়েদ ১০-৩-৪০-১, শাহানুর ১১-১-২৫-২, এনামুল জুনিয়র ৮-২-২৭-০, নাসুম ৪.১-১-৫-৪)
ফল: সিলেট ইনিংস ও ৩২ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: ইবাদত হোসেন