লেভান্তের মাঠে শনিবার লিওনেল মেসির গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে সাত মিনিটের মধ্যে তিন গোল খেয়ে ৩-১ ব্যবধানে হারে বার্সেলোনা। সব প্রতিযোগিতা মিলে টানা সাত ম্যাচ জয়ের পর পরাজয়ের স্বাদ পায় ভালভেরদের দল। লিগ মৌমুমে তৃতীয় হার এটি, তিনটিই প্রতিপক্ষের মাঠে।
২০১৭-১৮ মৌসুমের ইউরোপ সেরা মঞ্চে কোয়ার্টার-ফাইনালের ঘরের মাঠে বড় ব্যবধানে জিতেও ফিরতি পর্বে হেরে ছিটকে যায় বার্সেলোনা। গত আসরের সেমি-ফাইনালেও একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় তারা; লিভারপুলের বিপক্ষে প্রথম পর্বে ৩-০ গোলে জয়ের পর অ্যাওয়ে ম্যাচে ৪-০ ব্যবধানে হেরে বিদায় নিয়েছিল ভালভেরদের দল।
ম্যাচ শেষে কোচকে হতে হয় অপ্রিয় প্রশ্নের মুখোমুখি। ‘খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে বিস্মিত কিনা’ এবং ‘পদত্যাগ করবেন কিনা’-এই দুই প্রশ্নে ভালভেরদের উত্তর ছিল 'না'।
“দুই প্রশ্নের উত্তরই না। আমি পদত্যাগ নিয়ে ভাবছি না-কেবল এগিয়ে যেতে চাই।”
ম্যাচের চিত্র তুলে ধরে কাতালান কোচ বলেন, “সবকিছু ধসে পড়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধ আমরা ভালোভাবে শুরু করতে পারিনি এবং প্রতিপক্ষ শিবিরে ভীতি জাগাতে পারিনি…এরপরও তারা আমাদের যথেষ্ট সমস্যায় ফেলতে পারছিল না, কিন্তু দুই মিনিটে তারা দুই গোল দিয়ে দিলো। পরে তৃতীয় গোল আমাদের সত্যিই বেকায়দায় ফেলে দিয়েছিল।”
“প্রতিপক্ষ আমাদের সঙ্গে এমনভাবে খেলেছে যেন এটা বছরের সবচেয়ে বড় ম্যাচ। এক্ষেত্রে আমাদেরও উচিত ছিল জবাব দেওয়ার।”
এই হারের পরও অবশ্য পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। দিনের পরের ম্যাচে রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে শীর্ষে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া করে রিয়াল মাদ্রিদ। তাদের পয়েন্টও ২২। তবে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে তারা আছে দুইয়ে।
শীর্ষে উঠতে পারতো আতলেতিকো মাদ্রিদ ও সেভিয়াও। তবে সেভিয়ার মাঠে দুদলের ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়। সমান ২১ পয়েন্ট দল দুটির।