চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে শনিবার ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে ৪-২ গোলে হারে বসুন্ধরা। তিন ম্যাচে এক জয় ও দুই হারে তাদের পয়েন্ট ৩।
প্রথম ম্যাচে আই লিগের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সিটি এফসিকে ২-০ গোলে হারিয়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করেছে গোকুলাম কেরালা এফসি। গোকুলামের মতো দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে সেরা চারে উঠেছে টেরেঙ্গানু।
দুই দলের পয়েন্ট ও গোল পার্থক্য সমান হওয়ায় বেশি গোল দেওয়া টেরেঙ্গানু হয়েছে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। মালয়েশিয়ার দলটি সেমি-ফাইনালে খেলবে মোহনবাগানের বিপক্ষে। রানার্সআপ গোকুলাম মুখোমুখি হবে ‘এ’ গ্রুপের সেরা চট্টগ্রাম আবাহনীর।
সেরা একাদশে দুটি পরিবর্তন এনে নামে বসুন্ধরা। মাহবুবুর রহমান সুফিল ও আলমগীর কবির রানার জায়গায় সুযোগ পান রবিউল হাসান ও ইয়াসিন খান।
শুরু থেকে বসুন্ধরার রক্ষণে আক্রমণের ঝড় বইয়ে দেয় টেরেঙ্গানু। কিন্তু লিগ চ্যাম্পিয়নদের পোস্টের নিচে বিশ্বস্ত দেয়াল হয়ে ছিলেন আনিসুর রহমান জিকো।
বসুন্ধরার অগোছালো রক্ষণের সুযোগ নিয়ে বারবারই বিপদসীমায় ঢুকে পড়ছিলেন চেন্নাই সিটির বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা ব্রুনো। অষ্টাদশ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত এই জাপানী ফরোয়ার্ডের শট দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে যায়।
প্রথম আক্রমণটি কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। ২৭তম মিনিটে দানিয়েল কলিনদ্রেস সোলেরার পাস ধরে জালাল কুদোর আড়াআড়ি ক্রসে কেউ পা ছোঁয়াতে পারেনি। বল চলে যায় ডান দিকে থাকা বিশ্বনাথ ঘোষের পায়ে। এই ডিফেন্ডারের ক্রুসে গোলমুখ থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন সোলেরা। চেনা লাল জার্সিতে গ্যালারিতে আসা বসুন্ধরা সমর্থকরা মাতে আনন্দে। দুই মিনিট পরই শাইফিকের বাঁ পায়ের ভলি ফিস্ট করে বসুন্ধরার ত্রাতা জিকো।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে হাস্যকর ভুলে দুটি পেনাল্টি থেকে গোল হজম করে বসুন্ধরা। ৪৪তম মিনিটে ডি-বক্সের মধ্যে ইয়াসিন শাইফিককে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় টেরেঙ্গানু। জিকোকে অন্য প্রান্তে ছিটকে দিয়ে সমতায় ফেরান লি টাক।
যোগ করা সময়ে বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের ডি-বক্সে ঢুকে বল হারান রবিউল। শাইফিককে আটকাতে পেছন থেকে ট্যাকল করে হলুদ কার্ড দেখেন বখতিয়ার দুইশবেকভ। লি টাকের স্পট কিকে এবারও পরাস্ত জিকো।
৫১তম মিনিটে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা জালাল ডি-বক্সে ঢুকে বল বাড়ান সোলেরাকে। কোস্টারিকার এই ফরোয়ার্ডের শট ফেরান গোলরক্ষক। পাঁচ মিনিট পর মতিনের ক্রসে গোলমুখ থেকে হেড দিতে ব্যর্থ সোলেরা। বল তার পেটে লেগে গোললাইন পেরুনোর আগে ফেরান গোলরক্ষক। একটু পর এই ফরোয়ার্ডের শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে হতাশা বাড়ে বসুন্ধরা সমর্থকদের।
৭৪তম মিনিটে ডি-বক্সের ডান দিক থেকে দারুণ কোনাকুনি শটে হ্যাটট্রিক পূরণ করে লি টাক। চার মিনিট পর লি টাকের কাট ব্যাক থেকে পাওয়া বল ডি-বক্সে বখতিয়ার ও রবিউলকে কাটিয়ে বদলি ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ আজালিনুল্লাহ লক্ষ্যভেদ করলে আরও পিছিয়ে পড়ে বসুন্ধরা।
বদলি নামার পর ৮১তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে ক্রসবার কাঁপান এলিটা কিংসলে। পরের মিনিটে নাইজেরিয়ার এই ফরোয়ার্ডের বাড়ানো বল সোলেরার আড়াআড়ি পাসে পা ছুঁইয়ে ব্যবধান কমান লেবাননের ফরোয়ার্ড জালাল।