শুক্রবার রাতের ম্যাচে ৯-০ গোলে জিতে পয়েন্ট তালিকায় দুই নম্বরে উঠে এসেছে ব্রেন্ডন রজার্সের দল।
ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। ১৯৯৫ সালে ইপসউইচকে ৯-০ গোলে হারিয়েছিল তারা। এবার তাদের পাশে বসলো লেস্টার।
দশম মিনিটে বেন চিলওয়েলের লক্ষ্যভেদ দিয়ে শুরু হয় গোল উৎসবের। এই গোলের আক্রমণের শুরুতে পেরেসকে ফাউল করেন রায়ান বার্ট্রান্ড। ভিএআর প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
সপ্তদশ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান ইউরি তিলেমানস। দুই মিনিট পর নিজের প্রথম গোলটি করেন পেরেস। ৩৯তম মিনিটে স্কোর লাইন ৪-০ করে ফেলেন তিনি। ৪৫তম মিনিটে স্কোরশিটে নাম তোলেন ভার্ডি।
প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় দল হিসেবে প্রতিপক্ষের মাঠে ৫-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় লেস্টার। ২০১০ সালে বার্নলির বিপক্ষে প্রথম এই কৃতিত্ব দেখিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও চার গোল হজম করে সাউথ্যাম্পটন। ৫৭তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন পেরেস। পরের মিনিটে আবার জালের দেখা পান ভার্ডি। ৮৫তম মিনিটে জেমস ম্যাডিসনের গোলে ৮-০ ব্যবধানে এগিয়ে যান লেস্টার।
সব ধরনের প্রতিযোগিতায় এটাই সাউথ্যাম্পটনের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হার। প্রিমিয়ার লিগে তাদের আগের সবচেয়ে বড় হারটি ছিল লিভারপুলের বিপক্ষে। ২০ বছর আগে তারা হেরেছিল ৭-১ গোলে।
প্রিমিয়ার লিগে এনিয়ে মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচে একই দলের দুই খেলোয়াড় হ্যাটট্রিক করলেন। ২০০৩ সালে সাউথ্যাম্পটনের বিপক্ষেই আর্সেনালের দুই খেলোয়াড় হ্যাটট্রিক করেছিলেন।
লুইস সুয়ারেসের পর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে একই দলের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করলেন পেরেস। গত এপ্রিলে সাউথ্যাম্পটনের বিপক্ষে নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের ৩-১ গোলের জয়ে তিনটি গোলই ছিল তার।
১০ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে পেছনে ফেলে দুই নম্বরে উঠে এসেছে লেস্টার। প্রিমিয়ার লিগে এটাই তাদের ইতিহাসের সেরা শুরু।
৯ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে লিভারপুল। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে ম্যানচেস্টার সিটি।