চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে শুক্রবার ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ১-০ গোলে হারে চট্টগ্রাম আবাহনী। গ্রুপ পর্ব শেষে তিন দলের পয়েন্ট ৬ করে। গোল পার্থক্যে এগিয়ে থেকে চট্টগ্রাম আবাহনী (+৪) গ্রুপ সেরা, মোহনবাগান (+২) রানার্সআপ হয়েছে। সমান পয়েন্ট নিয়েও ছিটকে গেছে লাওসের দল ইয়াং এলিফ্যান্টস।
আগের ম্যাচে টিসি স্পোর্টসের বিপক্ষে ইয়াং এলিফ্যান্টস ২-১ গোলে জেতায় চট্টগ্রাম আবাহনীর সামনে সমীকরণ পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। আবার কমপক্ষে ছয় গোল না খেলে ছিটকে যাওয়ার ভয় না থাকায় সেরা একাদশে ছয়টি পরিবর্তন এনে একাদশ সাজান মারুফুল হক। চট্টগ্রাম আবাহনীর খেলায় দাপট না থাকলেও মোহনবাগানকে ভালোভাবে আটকে রাখে তারা।
ঘরের দলকে সমর্থন করতে গ্যালারি ছিল দর্শকে ঠাসা। কিন্তু হতাশ হতে হয়েছে সমর্থকদের। অগোছালো আক্রমণে একটু-আধটু সুযোগ তৈরি হলেও চট্টগ্রাম আবাহনীর ফরোয়ার্ড লুকা রতকোভিচ ক্রসবারের ওপর দিয়ে ও পোস্টের বাইরে মেরে নষ্ট করেন।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে পিটারের দারুণ সেভে বেঁচে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা সুহাইরকে আটকাতে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন হীমেল। গোলরক্ষককে কাটিয়ে সুহাইরের বাড়ানো ক্রস গোললাইন থেকে হেডে ফেরান পিটার।
৫৪তম মিনিটে জোসেবা বেইতার কর্নারে ড্যানিয়েল সাইরাসের হেড ফিরিয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর ত্রাতা হীমেল। ৬০তম মিনিটে পিছিয়ে পড়ে ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়নরা। সার্বিয়ান ডিফেন্ডার পিটারের প্রতিরোধ ভেঙে কাছের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন সুহাইর।
এরপরই সাকের ও রাব্বীকে তুলে জামাল ও ম্যাথিউকে নামান কোচ। চট্টগ্রাম আবাহনীর খেলায়ও গতি বাড়ে। ৭৮তম মিনিটে সোহেলের জায়গায় আরিফুর নামার একটু পরই সমতায় ফেরার ভালো সুযোগ নষ্ট হয় তাদের। রতকোভিচ শট নেওয়ার আগেই এক ডিফেন্ডার বিপদমুক্ত করলে প্রথম হারের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি।
টিসি স্পোর্টসকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইয়াং এলিফ্যান্টসকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়েছিল স্বাগতিকরা।