চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে শুক্রবার ভারতের আই-লিগের ২০১৪-১৫ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগানের মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম আবাহনী। ২০১৫ সালের সেরা হওয়া দলটি মুখিয়ে আছে শিরোপা পুনরুদ্ধারে।
ঘরোয়া ফুটবলের গত প্রিমিয়ার লিগে প্রত্যাশিত আলো ছড়াতে পারেনি চট্টগ্রাম আবাহনী। ১৩ দলের মধ্যে হয়েছিল অষ্টম। কিন্তু শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপে কোচের দায়িত্বে ‘আপাতত’ মারুফুলকে আনা বন্দর নগরীর দলটি রীতিমতো উড়ছে ডানা মেলে! প্রথম ম্যাচে গতবারের চ্যাম্পিয়ন টিসি স্পোর্টসকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পরের ম্যাচে লাওসের দল ইয়াং এলিফ্যান্টসকে হারায় ৪-২ ব্যবধানে।
মোহনবাগানকে হারাতে পারলে টানা তিন জয়ে পুরো ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপসেরা হওয়াও নিশ্চিত হবে চট্টগ্রাম আবাহনীর। ভারতের ঐতিহ্যবাহী দলটির বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে মারুফুল আত্মবিশ্বাস খুঁজে নিচ্ছেন অতীত থেকে; ২০১৪ সালে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের কোচ হিসেবে ভুটানের কিংস কাপে জিতেছিলেন মোহনবাগানের বিপক্ষে।
“২০১৪ সালের কিংস কাপে মোহনবাগানকে ৫-২ গোলে হারিয়েছিলাম আমরা। সেই মোহনবাগানের সঙ্গে এই মোহনবাগানের তেমন কোন পার্থক্য দেখি না। তবে এই মোহনবাগানের চেয়ে ওই মোহনবাগানের ফিটনেস লেভেলটা ভালো ছিল; আমার কাছে তাই মনে হয়েছে। তখন ওদের দলে সনি নর্দে ছিল। দু-তিনজন এশিয়ার ভাল খেলোয়াড়ও ছিল।”
ঘানার হয়ে ২০১০ বিশ্বকাপ খেলা প্রিন্স ট্যাগোকে এখনও খেলাননি মারুফুল। ট্যাগোকে ছাড়াই ছুটছে তার জয়রথ। জানালেন ৩ গোল করা চিনেডু ম্যাথিউ, ট্যাগোকে নিয়ে নিজের মনোভাব।
“আমার দলের মূল শক্তি গতি। আমার দল যখন বিল্ড-আপ করে প্রতিপক্ষের অর্ধে যায়, তখন মুভমেন্টগুলো খুব দ্রুত হয়, আক্রমণও খুব দ্রুত হয়। প্রতিপক্ষরা অনেক সময় বুঝতে পারে না কতটা গতিতে আক্রমণে যাবে আমাদের ছেলেরা।”
“ম্যাথিউ অবশ্যই ভাল খেলোয়াড়। মানসম্পন্ন খেলোয়াড়। তবে একটা সমস্যা আছে, যেটা হলো ওর ফিনিশিং সামর্থ্য…যেটা ছিল গত মৌসুমে, সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছে। ওর আরও সুযোগ তৈরি ও গোল করার সামর্থ্য আছে।”
“ট্যাগো আসলে অনেক পরে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। ফলে ও শুরুর একাদশে থাকার মতো অবস্থায় নেই। ফিটনেস লেভেলটা ওই পর্যায়ে নেই। তবে একেবারেই খেলাবো কী না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।”