‘তারা আমাদের আঘাত করে খেলতে চেয়েছে’

ঘটনাবহুল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে চেন্নাই সিটির সহকারী কোচ সত্যয়াসাগারা ধুয়ে দিলেন রেফারিকে। বসুন্ধরা কিংসের সহকারী কোচ মাহবুব হোসেন রক্সির অভিযোগ প্রতিপক্ষ তাদেরকে আঘাত করে খেলতে চেয়েছে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকচট্টগ্রাম থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2019, 02:15 PM
Updated : 24 Oct 2019, 03:02 PM

চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে চেন্নাইকে ৩-২ গোলে হারায় বসুন্ধরা।

ম্যাচের ২৪তম মিনিটের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় রেফারি লাল কার্ড দেন চেন্নাইয়ের জাপানি মিডফিল্ডার কাতসুমি ইউসাকে। চেন্নাইয়ের সহকারী কোচ সংবাদ সম্মেলনে রেফারির বিরুদ্ধেই তুললেন বর্ণবাদের অভিযোগ।

“রেফারি কাতসুমিকে চীনা বলেছিল, যেটা বর্ণবাদী আচরণ। কাতসুমি জাপানি, আপনারা জানেন জাপানীরা শৃঙ্খল, রেফারির আচরণে সে হতাশ হয়েছিল। ড্রেসিংরুমে কান্নাকাটি করেছে।”

“তাদের কোচ কেন আমাদের ডাগআউটে আসবে। আমি মনে করি দুই কোচকে লাল কার্ড দেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল না…যখন তাদের রেফারি আমাদের ডাগআউটে এসেছিল। রেফারি পরোক্ষভাবে ম্যাচে অনেক প্রভাব রেখেছে। আশা করি, ফেডারেশন এ বিষয়ে তদন্ত করবে।”

চার লাল কার্ডের দুটি পেয়েছেন দুই কোচ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে বসুন্ধরা কোচ অস্কার ব্রুসন তেড়ে যান চেন্নাই কোচের দিকে। চেন্নাই কোচও পাল্টা তেড়ে আসেন। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কিও হয় দুজনের। রেফারি দুই জনকে লালকার্ড দেন। রক্সি অবশ্য কোচের সমালোচনা করেননি। সমালোচনা করলেন প্রতিপক্ষের শক্তিনির্ভর কৌশলের।

“গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল। এ ম্যাচের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমরা বসুন্ধরা যেভাবে খেলতে চাই, সেভাবে খেলেছি। কাতসুমির ওই ঘটনা আমাদের খেলার গতি কমিয়ে দেয়। ওরা যেটা খেলতে চেয়েছে, সেটা আন্তর্জাতকি পর্যায়ে হয় না। তারা না খেলে কৌশল বদলে আমাদের খেলোয়াড়দের আঘাত করে খেলতে চেয়েছে।”

“দুটি দলই প্রথম ম্যাচই হেরেছিল। সেমি-ফাইনালে যেতে হলে আমাদের বড় ব্যবধানের জয় চাওয়া ছিল। রেফারির সিদ্ধান্ত পক্ষে-বিপক্ষে যাবে। রেফারি সবসময়ই ঠিক। ব্রুসনের ওদের ডাগআউটে চলে যাওয়া…ফুটবলে এমন অনেক কিছু ঘটে।”

“তিন পয়েন্ট পাওয়ার লক্ষ্য ছিল আমাদের। সেটা পেয়েছি। তবে আমাদের ডিফেন্স নিয়ে কাজ করতে হবে। ইয়াসিনকে আগের ম্যাচে খেলিয়েছি। ও চোটে পড়েছে। আজকে নুরুল নাঈম ফয়সালকে খেলেছি।”

“আমাদের খেলা অগোছালো ছিল না। আসলে সবাই গোল করতে চাচ্ছিল। অলআউট খেলতে যাওয়ার কারণে ওরা সুযোগ পেয়েছে। দুটি গোল করেছে।”

ম্যাচসেরা লেবাননের ফরোয়ার্ড জালাল ‍কুদো জোড়া গোলের কৃতিত্ব দিয়েছেন সতীর্থদের।

“কঠিন ম্যাচ ছিল… শুরুতে থেকেই। আমরা তিন পয়েন্ট পেতে চেয়েছিলাম। দল সে জন্য ইফোর্ট দিয়েছে। লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। গোলগুলো আমার কৃতিত্ব না। কৃতিত্ব সতীর্থদের জন্য।”