আগামী ১ ডিসেম্বর নেপালের কাঠমাণ্ডু ও পোখারায় শুরু হবে এসএ গেমসের ত্রয়োদশ আসর। ভারতের গুয়াহাটি-শিলংয়ের গত আসরে মেয়েদের ফুটবলে ব্রোঞ্জ জিতেছিল বাংলাদেশ।
জাতীয় দলটি মূলত বয়সভিত্তিক দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া। শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে খারাপ করলে তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারে-এটা ভেবে এসএ গেমসে দল না পাঠানোর কথা জানিয়েছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।
“মেয়েদের পূর্ণাঙ্গ একটি জাতীয় দল গড়ে তুলতে আমাদের আরও সময় লাগবে। তাই আমরা এই এসএ গেমসে মেয়েদের দল পাঠাচ্ছি না। আসলে আমাদের দল এখনও ভারত, নেপালকে হারানোর পর্যায়ে যায়নি।”
“আপনারা দেখেছেন যে ছেলেদের দলটিও বেশ কিছুদিন সময় নিয়ে এখন গুছিয়ে উঠেছে। মেয়েদের দলটি পরিণত হতেও সময় প্রয়োজন। নেপালে গিয়ে খারাপ করলে এই মেয়েরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারে।”
“আমরা প্রায় প্রতিটি বয়সভিত্তিক আসরে মেয়েদের অংশগ্রহণ করাচ্ছি। দু-একটা বাদ দিলে আমার মনে হয় খুব বেশি সমস্যা হবে না।
কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনেরও মনে হচ্ছে তার দল ভারত, নেপালের সঙ্গে লড়াই করার পর্যায়ে পৌঁছায়নি।
“কর্তৃপক্ষ যেমন ভাল মনে করেছে তেমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে আমার কিছু বলার নেই। সত্যিকার অর্থে আমাদের মেয়েদের এ মুহূর্তে ভারত ও নেপালের সঙ্গে পেরে ওঠা কঠিন। কারণ এরা এখনও বয়সভিত্তিক দলে খেলে। হারলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ওদের ওপর।”