ওল্ড ট্রাফোর্ডে রোববার রাতে ১-১ ড্র হওয়া ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে মার্কাস র্যাশফোর্ডের গোলে এগিয়ে যায় সুলশারের শিষ্যরা। তবে ইউনাইটেড আক্রমণে যাওয়ার শুরুতে লিভারপুলের দিভোক ওরিগির সাথে বল দখলের লড়াইয়ে তাকে ফেলে দেন ভিক্টর লিন্ডেলফ। তবে ফাউলের বাঁশি না বাজিয়েই খেলা চালিয়ে যান রেফারি মার্টিন অ্যাটকিনসন।
রাশফোর্ড গোল করার পর ফাউল হয়েছে কিনা দেখতে ভিএআরের সাহায্য নেন রেফারি। রিপ্লেতে ফাউল মনে হলেও গোল দেওয়া হয় ইউনাইটেডকে।
ম্যাচের পর গোলটি প্রসঙ্গে লিভারপুল কোচ ক্লপ বলেন, “আমি নিশ্চিত, ম্যাচে যদি ভিএআর প্রযুক্তি না থাকতো, তাহলে রেফারি ফাউলের বাঁশি বাজাতেন। কিন্তু তিনি খেলা চালিয়ে গেছেন কারণ, তার কাছে ভিএআর আছে। কিন্তু এরপর ভিএআর বলছে, গোলটা বাতিল করা যাবে না। কারণ, যা ঘটেছিল সেটা স্পষ্ট নয়।”
“আমি রাগ করিনি। অবাক হয়েছিলাম। আমার মনে হয়, সবাই একমত হবে যে এটা ফাউল ছিল। কিন্তু ভিএআর সেটা ভাবেনি। এই ব্যাপারটা নিয়ে আমাদের আলোচনা করার সময় এসেছে।”
সুলশার অবশ্য লিন্ডেলফের চ্যালেঞ্জকে ফাউল মানতে নারাজ, “কোনো সুযোগই নেই (ফাউল বলার)। আমরা বাস্কেটবল খেলছি না। এটা কখনোই ফাউল হতে পারে না।”
“আমার মতে, রেফারির প্রশংসা করা উচিত। আমরা এটা সাধারণত করি না। একটা ডার্বি ম্যাচ যেমন হবার কথা, তিনি সেভাবেই এটি পরিচালনা করেছেন।”