ঐতিহ্যবাহী মোহনবাগানকে হারিয়ে দিল ‘তরুণ’ এলিফ্যান্টস

প্রথমবারের মতো শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ খেলতে এসে মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখল মোহনবাগান। কলকাতার ঐতিহ্যবাহী দলটিকে হারিয়ে দিয়েছে লাওসের 'তরুণ' ক্লাব ইয়াং এলিফ্যান্টস।

ক্রীড়া প্রতিবেদকচট্টগ্রাম থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2019, 03:06 PM
Updated : 20 Oct 2019, 06:16 PM

চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে রোববার ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ২-১ গোলে জিতে শুভসূচনা করেছে এলিফ্যান্টস।

কলকাতার ঐতিহ্যবাহী দল মোহনবাগানের বিপক্ষে প্রথমার্ধে সমানে সমান লড়াই করে মাত্র চার বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ইয়াং এলিফ্যান্টস।

অষ্টাদশ মিনিটে সোসেবা বেইতিয়ার কর্নারে ফ্রান্সেসকো হাভিয়ের মুনোসের হেড পাসে হুলিয়েন কলিন্স হেডেই জাল খুঁজে নেন। এগিয়ে যায় ২০১৪-১৫ মৌসুমে আই লিগের সেরা হওয়া মোহনবাগান।

৪৩তম মিনিটে দারুণ এক গোছানো আক্রমণে সমতায় ফেরে এলিফ্যান্টস। ডি-বক্সের ওপর থেকে একাধিক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে চান্থাচোনে সিনোলাথ থ্রু পাস বাড়ান। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিখুঁত টোকায় গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন সোমেক্সে কেয়োহানাম।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পোস্ট ছেড়ে দ্রুত বেরিয়ে এসে স্লাইড করে মোহনবাগানের ফরোয়ার্ড সালভাদোর পেরেসকে শট নেওয়ার সুযোগই দেননি গোলরক্ষক। নিশ্চিত গোল হজম করা থেকে বেঁচে যায় এলিফ্যান্টস। ৭২তম মিনিটে এলিফ্যান্টসের এক খেলোয়াড়ের শট ক্রসবারে লাগে।

৮৭তম মিনিটে ডি-বক্সে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পান ভান্না। কিন্তু সোসেবার পেনাল্টি ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরান এলিফ্যান্টস গোলরক্ষক। এরপরই প্রতি-আক্রমণে এগিয়ে যায় লাওসের দলটি। ডান দিক থেকে থিনোলাথের নিচু ক্রসে কেয়োহানাম সাইড ভলিতে জাল খুঁজে পায়।

হারে হতাশ মোহনবাগান কোচ হোসে আন্তোনিও জানালেন ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়।
 
“আমরা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ করেছি। অধিকাংশ সময় প্রতিপক্ষের অর্ধে খেলেছি। অনেকগুলো সুযোগও তৈরি করেছি। কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি। শেষ দিকে পেনাল্টি থেকেও গোল পাইনি।”
 
“হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা হতাশার। তবে এটাই ফুটবল। আশা করি পরের ম্যাচগুলোতে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব।”
 
দারুণ জয়ে খুশি এলিফ্যান্টস কোচ সালভারাস শিষ্যদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে।
 
“আমি মনেকরি ছেলেরা খুবই ভালো খেলেছে। দারুণ সংগঠিত ছিল। অনুশীলনে তাদের যেটা শেখানো হয়েছে তারা সেটা মাঠে প্রয়োগ করেছে। মোহনবাগানের মতো নামকরা ক্লাবের বিপক্ষে জেতাটা অবশ্যই ভীষণ আনন্দের ব্যাপার।”
 
“প্রথমার্ধে মনে হয় আমরা সমানে সমান ছিলাম। তবে মোহনবাগান বেশি সুযোগ পেয়েছিল। আমরা কিছুটা ভাগ্যবান ছিলাম। শেষ দিকে পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যেতে পারত। গোলরক্ষক খুবই ভালো একটা সেভ করেছে। আমরা হাল ছাড়িনি। চাপ দিয়েছি এবং শেষ পর্যন্ত জিতেছি।”