চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে আগামী শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রতিযোগিতার তৃতীয় আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।
আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনী। দর্শক সমর্থনও তাদের পক্ষে। কিন্তু দলটার গুছিয়ে ওঠা নিয়ে আছে প্রশ্ন। ‘ধারে’ কোচের দায়িত্বে এসেছেন মারুফুল। একইভাবে সাইফ স্পোর্টিং থেকে এসেছেন অধিনায়ক জামাল! তবে কোচ টানলেন প্রথম আসরের উদাহরণ।
“প্রথম আসরের দিকে যদি দেখেন, সেবার কিন্তু চট্টগ্রাম আবাহনী এভাবেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তখনও বিভিন্ন দল থেকে খেলোয়াড় নিয়েছিল তারা।”
“এ দলের ছয় জন ছিল জাতীয় দলে। তারা সবে মাত্র যোগ দিয়েছে। আমিও খুব বেশি দিন কাজ করার সুযোগ পাইনি। কিন্তু আশা করি, কম্বিনেশনে কোনো সমস্যা হবে না।”
গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে প্রথম আসরের সেমি-ফাইনালে আফগানিস্তানের স্পিন ঘর বাজানকে হারিয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। ফাইনালে ভারতের ঐতিহ্যবাহী দল ইস্ট বেঙ্গলকে ৩-১ ব্যবধানে গুঁড়িয়ে শিরোপা উৎসব করেছিল স্বাগতিকরা। পরেরবার অবশ্য সেমি-ফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়ার দল এফসি পচেয়নের কাছে সেরা চারের লড়াইয়ে হেরেছিল আয়োজকরা।
জামালের পাশে দেশি নির্ভযোগ্য তারকাদের সঙ্গে ইউরোপে খেলার অভিজ্ঞতা থাকা লুকা রতকোভিচ, দিদিয়ের কেপেহি, ২০১০ বিশ্বকাপ খেলা ঘানার প্রিন্স ট্যাগোসহ ইকবাল, জন নরমামোভিচ, পিটার প্লানিস থাকায় দল নিয়ে আশাবাদী মারুফুল।
“আমরা টার্গেট করেছি শিরোপা পুনরুদ্ধারের। তবে বাকি যে দলগুলো আছে, তাদেরকে আমরা দেখেছি। আশা করি তাদের সঙ্গে লড়াই করে আমরা লক্ষ্য পূর্ণ করতে পারব।”
অধিনায়ক জামালও অল্প কথায় বলেন দিলেন লক্ষ্যটা, “কিছু বলার নেই। যা বলার কোচ এরই মধ্যে বলেছেন। চট্টগ্রাম আবাহনীর একটাই লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ ভাবব। আগামীকালের ম্যাচ ও টুর্নামেন্ট নিয়ে উন্মুখ হয়ে আছি।”
গত আসরে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল টিসি স্পোর্টস। মালদ্বীপের দলটি দেশের বাইরে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলতে এসে করেছিল বাজিমাত। দুই বছরের আগের খেলোয়াড়দের সিংহভাগই নেই হামিদের তাবুতে। তবে লক্ষ্য আগের মতোই।
“ছেলেরা জয়ের জন্য প্রস্তুত। গত আসরের চ্যাম্পিয়ন বলে আমি কোনো চাপ অনুভব করছি না। প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম আবাহনী স্বাগতিক। তারা এগিয়ে আছে কিন্তু আমরা এটার জন্য লড়ব।”
দুই চ্যাম্পিয়নের লড়াইয়ের বার্তা উত্তেজনার রেণু ছড়াচ্ছে প্রতিযোগিতার শুরুতেই।