বয়সভিত্তিক ও মেয়েদের ফুটবলে জোর দিতে বললেন ফিফা সভাপতি

সংক্ষিপ্ত সফরে ব্যস্ত সময়সূচির মাঝেও সংবাদ সম্মেলনে দারুণ ইতিবাচক ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। শুরুর দিকেই গাড়িতে বসে লম্বা সময় বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করতে পারায় ধন্যবাদ দিলেন ঢাকার ট্রাফিক জ্যামকে! এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার প্রশ্নে একবাক্যে ক্রিকেটকে নাকচ করে বললেন ফুটবলের কথা। বাংলাদেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে বয়সভিত্তিক ও মেয়েদের ফুটবলে জোর দেওয়ার পরামর্শও দিলেন তিনি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2019, 01:52 PM
Updated : 17 Oct 2019, 02:10 PM

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় পা রেখে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ইনফান্তিনো। দুপুরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে যান সংস্থাটির কার্যালয়ে। এরপর সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি।

বয়স ভিত্তিক পর্যায়ে ও মেয়েদের ফুটবলে গত কয়েক বছরে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন ইনফান্তিনো। এ দেশে ফুটবলের জনপ্রিয়তা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন গত জুনে দ্বিতীয় মেয়াদে ফিফার সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া এই কর্মকর্তা।

“আমি এটা প্রত্যাশা করিনি। ভেবেছিলাম আমি এমন একটা দেশে এসেছি, যারা ফুটবল সম্পর্কে হয়তো কিছুটা জানে। কিন্তু বাংলাদেশ আসলে এমন একটা দেশ যারা শুধু ফুটবল খেলে বা ফুটবল নিয়ে স্বপ্ন দেখে না বরং ফুটবলেই বাঁচে।”

“এখানে ফুটবল নিয়ে যে ইতিবাচক সাড়া দেখলাম তাতে আমি খুব খুশি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক ঘণ্টার উপরে দারুণ একটা মিটিং হলো। ফুটবলে আমরা কি করতে পারি, তা নিয়েই কথা হলো। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ড্র করা নিয়েও কথা হয়েছে।”

“ফুটবলের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য কথা বললাম। এখানে আমি যে উন্মাদনা দেখলাম, তাতে আমি মনে করি ফুটবলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।”

বাংলাদেশের ক্রিকেটে ঝুঁকে পড়া নিয়েও কথা বলেন ইনফান্তিনো। সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলতে না পারলে পৃষ্ঠপোষক বা সরকারী সহযোগিতা পাওয়া কঠিন হয় তা মেনে নেন সুইস-ইতালিয়ান এই কর্মকর্তা।

নতুন নতুন প্রতিযোগিতা চালু করার মাধ্যমে সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার সুযোগ বাড়াতে ফিফা কাজ করছে বলে জানান ইনফান্তিনো। ছেলেদের বিশ্বকাপে দল সংখ্যা ৩২ থেকে বাড়িয়ে ৪৮ এবং মেয়েদের ফুটবলে দল সংখ্যা ২৪ থেকে বাড়িয়ে ৩২ করার কথাও উল্লেখ করেন। বিশ্বকাপে এশিয়ার দেশ সংখ্যা ৮টি হওয়ার কথাও জানান তিনি।

“আপনি যদি জাপান, কোরিয়া, ইরান বা অস্ট্রেলিয়া না হন, তাহলে আপনি হতাশ হয়ে যাবেন। ছেলেদের (৩২ দলের) বিশ্বকাপে এশিয়ার মাত্র চারটি দেশ অংশ নিতে পারে। আর আপনি জানেন যে আপনার সুযোগ খুবই সামান্য।”

“মেয়েদের ফুটবলে বিনিয়োগ করতে আমি উৎসাহিত করি। কেননা, মেয়েদের ফুটবলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা এখনও অতটা কঠিন নয়। ইউরোপে ছেলেদের ফুটবল যতটা কাঠামোবদ্ধ, মেয়েদের ফুটবল ততটা নয়। তাই মেয়েদের ফুটবলে তুলনামূলক দ্রুত সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছানোর সুযোগ আছে। আর আমি নিশ্চিত বাংলাদেশ তা পারবে।”