কোলকাতার সল্ট লেক স্টেডিয়ামে গত মঙ্গলবার কাতার বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে দুই দলের ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়। প্রথমার্ধের শেষ দিকে সাদউদ্দিনের দারুণ হেডে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ম্যাচের শেষ দিকে আদিল খানের হেডে জয় বঞ্চিত হয় দল।
ভারত থেকে পয়েন্ট নিয়ে ফেরার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের। সেটা পূরণ হয়েছে ঠিকই। কিন্তু বেশ কিছু সুযোগ নষ্টের কারণে ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের পর ভারতকে হারানোর সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার হতাশাও হয়েছে সঙ্গী। বুধবার দেশে ফেরার পথে কলকাতার নেতাজি সুভাস চন্দ্র বসু বিমানবন্দরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দলের অনেকেই জানালেন নির্ঘুম রাত কাটানোর কথা।
৫০তম মিনিটে জীবনের বাঁ পায়ের শট গোলরক্ষকের পায়ে লেগে ফিরে। ৭১তম মিনিটে এই ফরোয়ার্ডই দারুণ লবে গুরপ্রিত সিংয়ের মাথার ওপর দিয়ে বল বের করে দিয়েছিলেন, কিন্তু আদিল গোললাইন থেকে ফেরান। ভুটান ম্যাচে জোড়া গোল করা এই ফরোয়ার্ডের তাই ভারত ম্যাচ নিয়ে হতাশার শেষ নেই।
“কাল রাতে ঘুমই হয়নি। আমার ভাগ্যই খারাপ।”
“ঘুমই আসছিল না … পাঁচটার দিকে ঘুমাতে গেছি। ভারতকে হারানোর ভালো একটি সুযোগ নষ্ট হলো।”
শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে ড্র করাও মন্দ ফল নয়। কিন্তু রবিউল হাসানও জানালের ড্রয়ের কোনো উদযাপন করেননি তারা।
“খুব খারাপ লাগছে। কোনো উদযাপন-টাপন হয়নি। শেষ দিকে গোল খেয়ে জয়ের সুযোগটা হারালাম আমরা। এটা খুব কষ্টের।”
জামালের কর্নারে হেডে জাল খুঁজে নিয়ে সল্ট লেকের গ্যালারিতে আসা ভারতের সমর্থকদের স্তব্ধ করে দিয়েছিলেন সাদউদ্দিন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে দেশে ফিরতে না পারার হতাশাই বেশি এই তরুণ উইঙ্গারের।
“এগিয়ে যাওয়ার পর দলের মধ্যে একটা মোমেন্টাম তৈরি হয়েছিল। সবাই খুব ইতিবাচক খেলছিল। লক্ষ্য ছিল আর যাই হোক, গোল যেন না খাই। তাহলেও তো জিতব।”
“ওরা আমাদের অনেক চাপ দিয়েছে; তারপরও সব ঠিক ছিল। কিন্তু শেষ দিকে গোল খেলাম…আসলে ওই সময় আমাদের মার্কিংয়ে সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু যে সুযোগগুলো পেয়েছিলাম, কাজে লাগাতে পারলে জিততাম।”
“গোল পেলে অবশ্যই ভালো লাগে। কিন্তু দলের জয়টাই মুখ্য। তাই নিজের গোলের আনন্দের চেয়ে দল না জেতার কষ্টটাই বেশি।”