মাঠে বর্ণবাদের শিকার ইংলিশ খেলোয়াড়রা

বুলগেরিয়ার সোফিয়ায় স্বাগতিক দলের বিপক্ষে ২০২০ ইউরো বাছাইয়ের ম্যাচে বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা। দুইবার বন্ধ হয়ে যায় খেলা। ম্যাচ শেষে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইংল্যান্ড কোচ ও খেলোয়াড়রা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Oct 2019, 10:44 AM
Updated : 15 Oct 2019, 10:45 AM

সফরকারী খেলোয়াড়দের লক্ষ্য করে বাজে স্লোগান দেয় বুলগেরিয়ার কিছু সমর্থক। বাজে অঙ্গভঙ্গিও করে তারা। প্রথমবার ২৮তম মিনিটে খেলা থামিয়ে দেন রেফারি। এসময় ইংল্যান্ড ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল। এর পুনরাবৃত্তি হলে ম্যাচ পরিত্যাক্ত হবে বলে স্টেডিয়াম থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়।

সেই হুমকিতে কোনো কাজ হয়নি। ৪৩তম মিনিটে আবার খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের সঙ্গে আলোচনা করে আবার খেলা শুরু করেন রেফারি।

ইংল্যান্ড খেলোয়াড়দের সুযোগ ছিল মাঠ ছেড়ে যাওয়ার, কিন্তু তারা খেলা চালিয়ে যায়। ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ৬-০ গোলের বড় ব্যবধানে জেতে ইংল্যান্ড।

গত জুনে বুলগেরিয়ার ভাসিল লেভাস্কি স্টেডিয়ামে কসোভো ও চেক রিপাবলিকও বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছিল। ইংল্যান্ডও যে একই আচরণের শিকার হতে পারে এমন শঙ্কা আগে থেকেই ছিল। এ নিয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে সপ্তাহজুড়ে আলোচনা করেছিলেন সাউথগেট। বুলগেরিয়ার ফুটবল কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে আগেই জানানো হয়েছিল, তবে তারা এটাকে পাত্তা দেয়নি।

ম্যাচ শেষে সাউথগেট বিবিসিকে বলেন, “সম্ভব্য এমন ঘটনার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হয়েছিল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল খেলোয়াড় এবং স্টাফরা জানত আমরা কি করতে যাচ্ছিলাম এবং কি সিদ্ধান্ত নেওয়া ছিল। আমাদের খেলোয়াড়দের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে এমনটা কারও হওয়া উচিত না। আমরা প্রটোকল অনুসরণ করেছি। এর মাধ্যমে আমরা দুটো বার্তা দিয়েছি- এক, আমাদের ফুটবল জবাব দিয়েছে; দ্বিতীয়ত, আমরা দুইবার খেলা থামিয়ে দিয়েছি।”

তবে মাঠে বর্ণবাদী ঘটনা ঘটার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বুলগেরিয়া কোচ ক্রাসিমির বালাকভ। এমন কিছু তিনি শোনেননি বলে জানান।

“ব্যক্তিগতভাবে আমি বাজে স্লোগান শুনিনি। আমি দেখেছিলাম রেফারিকে খেলা থামিয়ে দিতে তবে আমাকে এটাও বলতে হচ্ছে, এমন আচরণ শুধু বুলগেরিয়ার দর্শকদের কাছ থেকেই আসেনি, ইংলিশ সমর্থকদের কাছ থেকেও এসেছে, যারা বুলগেরিয়ার জাতীয় সঙ্গিতের সময় শিস দিচ্ছিল ও চিৎকার করছিল।”