২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ সালের এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের দ্বিতীয়রাউন্ডে আগামী মঙ্গলবার মুখোমুখি হবে দুই দল। কলকাতার সল্ট লেক স্টেডিয়ামে স্থানীয়সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শুরু হবে ম্যাচটি।
সল্ট লেকের প্রসঙ্গ পাড়তে রুপুর মনে পড়ে গেলো ১৯৮৭ সালের সাফগেমসের কথা। বর্তমানে দলের টিম ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করা জাতীয় দলের এই সাবেকঅধিনায়ক ফিরে গেলেন ৩২ বছর আগে।
“এই সল্ট লেকে আমরা খেলেছি। সেটা ১৯৮৭ সালের সাফ গেমসে। ওইগেমসের কয়েক বছর আগে (১৯৮৪ সালে) এই স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হয়েছিল মনে হয়। মাত্রনতুন নির্মিত স্টেডিয়াম, ৮০-৯০ হাজারের মতো দর্শকের উপস্থিতি, সব মিলিয়ে দারুণউৎসবমুখর একটা পরিবেশ ছিল।”
ওই আসরে অবশ্য ফুটবল ইভেন্টে ভারতের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ হয়নিবাংলাদেশের। নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ‘বি’ গ্রুপে পড়েছিল দল। দুই ম্যাচে একটি করে জয়ও হারে গ্রুপ পর্ব শেষ করা বাংলাদেশ তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে হেরেছিলপাকিস্তানের কাছে। কিন্তু রুপু এখনও যেন শুনতে পান সল্ট লেকের গ্যালারিতে আসাপ্রায় লাখো সমর্থকের গর্জন।
“আমরা যখন সাফ গেমসে খেলতে এসেছিলাম এখানে, তখন সবেমাত্র এ মাঠেফুটবলের হাওয়া লাগতে শুরু করেছে। তখনও গ্যালারি পরিপূর্ণ হয়ে যেতো। মাঠে খেলতেনেমে আমরা কখনও চাপ অনুভব করিনি।”
বিপলু-রবিউলদের জন্য বিষয়টা ভিন্ন। আশি-নব্বইয়ের দশকে দেশেরমাঠেও উপচে পড়া গ্যালারি আর সমর্থকের উল্লাস-উচ্ছ্বাসের মধ্যে রুপুর খেলারঅভিজ্ঞতা আছে কিন্তু বর্তমান দলের কারো সে অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে। ঘরোয়া লিগে রুপুরউত্তরসূরিরা খেলেন ফাঁকা গ্যালারির সামনে। বড় ম্যাচে হলে হাতে গোনা কিছু দর্শকেরসামনে।
ভারত কোচ ইগর ইস্তিমাচ জানিয়েছেন সল্ট লেক স্টেডিয়ামে ভরাগ্যালারির সামনে খেলতে মুখিয়ে থাকার কথা। তার শিষ্যদেরও নাকি তর সইছে না। কোচের ডাকেসাড়া দিয়ে যদি কলকাতার ফুটবল পাগল দর্শক আটঘাট বেঁধে এসে পড়েন! তাহলে? রুপু দারুণআত্মবিশ্বাসী উত্তরসূরিদের নিয়ে।
“এবার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ সল্ট লেকে। স্বাভাবিকভাবে দর্শকেভরা থাকবে গ্যালারি। কিন্তু আমি দর্শকের চাপে খেলোয়াড়দের ভেঙে পড়ার কোনো কারণইদেখি না।”
“হ্যাঁ, ওরা হয়তো সবসময় এত দর্শকের সামনে খেলে না। খেলতেঅভ্যস্ত না। কিন্তু কদিন আগেই তো কাতারের বিপক্ষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেদর্শকে পূর্ণ গ্যালারির সামনে খেলল এবং ভালো খেলল। আমার বিশ্বাস ভারতের সঙ্গে টাইটম্যাচ হবে।”
বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরাও নিশ্চয় তাই-ই চাইছেন, খুব করে!