‘ভারতের বিপক্ষে টাইট ম্যাচ হবে’

বরাবরই তিনি স্বল্পভাষী। লম্বা-চওড়া প্রশ্নের উত্তর দেন একবাক্যে। পারলে তো ‘হু-হ্যাঁ-না’ এই তিন শব্দে সেরে দিতে চান। সেই সত্যজিৎ দাস রুপু সল্ট লেক স্টেডিয়ামে এবারের ভারত-বাংলাদেশ দ্বৈরথ নিয়ে দারুণ শিহরিত। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সাবেক এই তারকা মিডফিল্ডার জানালেন-ভারতের বিপক্ষে ‘টাইট’ ম্যাচ উপহার দিবে তার উত্তরসূরিরা।

মোহাম্মদ জুবায়েরমোহাম্মদ জুবায়েরকলকাতা থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Oct 2019, 02:25 PM
Updated : 12 Oct 2019, 02:37 PM

২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ সালের এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে আগামী মঙ্গলবার মুখোমুখি হবে দুই দল। কলকাতার সল্ট লেক স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শুরু হবে ম্যাচটি।

সল্ট লেকের প্রসঙ্গ পাড়তে রুপুর মনে পড়ে গেলো ১৯৮৭ সালের সাফ গেমসের কথা। বর্তমানে দলের টিম ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করা জাতীয় দলের এই সাবেক অধিনায়ক ফিরে গেলেন ৩২ বছর আগে।

“এই সল্ট লেকে আমরা খেলেছি। সেটা ১৯৮৭ সালের সাফ গেমসে। ওই গেমসের কয়েক বছর আগে (১৯৮৪ সালে) এই স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হয়েছিল মনে হয়। মাত্র নতুন নির্মিত স্টেডিয়াম, ৮০-৯০ হাজারের মতো দর্শকের উপস্থিতি, সব মিলিয়ে দারুণ উৎসবমুখর একটা পরিবেশ ছিল।”

ওই আসরে অবশ্য ফুটবল ইভেন্টে ভারতের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ হয়নি বাংলাদেশের। নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ‘বি’ গ্রুপে পড়েছিল দল। দুই ম্যাচে একটি করে জয় ও হারে গ্রুপ পর্ব শেষ করা বাংলাদেশ তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে হেরেছিল পাকিস্তানের কাছে। কিন্তু রুপু এখনও যেন শুনতে পান সল্ট লেকের গ্যালারিতে আসা প্রায় লাখো সমর্থকের গর্জন।

“আমরা যখন সাফ গেমসে খেলতে এসেছিলাম এখানে, তখন সবেমাত্র এ মাঠে ফুটবলের হাওয়া লাগতে শুরু করেছে। তখনও গ্যালারি পরিপূর্ণ হয়ে যেতো। মাঠে খেলতে নেমে আমরা কখনও চাপ অনুভব করিনি।”

বিপলু-রবিউলদের জন্য বিষয়টা ভিন্ন। আশি-নব্বইয়ের দশকে দেশের মাঠেও উপচে পড়া গ্যালারি আর সমর্থকের উল্লাস-উচ্ছ্বাসের মধ্যে রুপুর খেলার অভিজ্ঞতা আছে কিন্তু বর্তমান দলের কারো সে অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে। ঘরোয়া লিগে রুপুর উত্তরসূরিরা খেলেন ফাঁকা গ্যালারির সামনে। বড় ম্যাচে হলে হাতে গোনা কিছু দর্শকের সামনে।

ভারত কোচ ইগর ইস্তিমাচ জানিয়েছেন সল্ট লেক স্টেডিয়ামে ভরা গ্যালারির সামনে খেলতে মুখিয়ে থাকার কথা। তার শিষ্যদেরও নাকি তর সইছে না। কোচের ডাকে সাড়া দিয়ে যদি কলকাতার ফুটবল পাগল দর্শক আটঘাট বেঁধে এসে পড়েন! তাহলে? রুপু দারুণ আত্মবিশ্বাসী উত্তরসূরিদের নিয়ে।

“এবার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ সল্ট লেকে। স্বাভাবিকভাবে দর্শকে ভরা থাকবে গ্যালারি। কিন্তু আমি দর্শকের চাপে খেলোয়াড়দের ভেঙে পড়ার কোনো কারণই দেখি না।”

“হ্যাঁ, ওরা হয়তো সবসময় এত দর্শকের সামনে খেলে না। খেলতে অভ্যস্ত না। কিন্তু কদিন আগেই তো কাতারের বিপক্ষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দর্শকে পূর্ণ গ্যালারির সামনে খেলল এবং ভালো খেলল। আমার বিশ্বাস ভারতের সঙ্গে টাইট ম্যাচ হবে।”

বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরাও নিশ্চয় তাই-ই চাইছেন, খুব করে!