সুযোগ নষ্টের হতাশা পোড়াচ্ছে কোচকে

সুযোগের কোনোটা ফিরে এলো গোল লাইন থেকে। কোনোটা নষ্ট হলো দুর্বল হেডে, শটে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শক্তিশালী কাতারের বিপক্ষে নষ্ট হওয়া সুযোগগুলো পোড়াচ্ছে জেমি ডেকে। শিষ্যদের পারফরম্যান্সের করলেন প্রশংসাও।

মোহাম্মদ জুবায়েরমোহাম্মদ জুবায়েরবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Oct 2019, 04:33 PM
Updated : 10 Oct 2019, 04:37 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন কাতারের কাছে ২-০ গোলে হারে বাংলাদেশ। এ নিয়ে বাছাইয়ে টানা দুই ম্যাচ হারল তারা।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে ইয়াসিন খান ও রিয়াদুল হাসান রাফির শট ফিরে আসে গোল লাইন থেকে। দ্বিতীয়ার্ধেও একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করে বাংলাদেশ। কিন্তু বদলি ফরোয়ার্ড মাহবুবুর রহমান সুফিলের ক্রসে জামালের শট ঠিকানা খুঁজে পায়নি। এরপর সুফিলের শট ফিস্ট করে ফেরান গোলরক্ষক। চার মিনিট পর ইব্রাহিমের ছোট পাসে বিপলুর শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।

ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় নষ্ট হওয়া সুযোগ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন ডে। তবে গত মে মাস থেকে দলের হাল ধরার পর এটাই তার শিষ্যদের সেরা পারফরম্যান্স বলে মনে করেন তিনি।

“আমি ছেলেদের নিয়ে দারুণ গর্বিত। তারা যেভাবে খেলেছে…..। আমি মনে করি, দ্বিতীয়ার্ধে আরও ভালো সুযোগ পেয়েছিলাম এবং কাতারকে সমস্যায় ফেলতে পারতাম। শেষ দিকে গোল খাওয়াটা হতাশার কিন্তু আমি ছেলেদের প্রশংসা না করে পারছি না।”

“আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ এ পর্যন্ত যে কয়টা ম্যাচ খেলেছে, ম্যাচের ফল বাদ দিয়ে পারফরম্যান্সের পাল্লায় মাপলে তার মধ্যে এটাই সেরা ম্যাচ। যে সুযোগগুলো পেয়েছি, তা কাজে লাগানো গেলে ম্যাচের চিত্র ভিন্নরকম হতে পারত। আমাদের দুটি সুযোগ গোললাইন থেকে ফিরে এসেছে।”

হতাশ অধিনায়ক জামালও। নবম মিনিটে সুযোগ পেয়েছিলেন এই মিডফিল্ডার। কিন্তু কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন তিনি। নিজের ও সতীর্থদের সুযোগ নষ্ট হওয়ায় নিজেদের দুর্ভাগাও মনে করছেন তিনি।

“আমি হতাশ। আমরা সুযোগ পেয়েছিলাম। আমি নিজে মিস করেছি। বলে ঠিকঠাক পা লাগাতে পারিনি। এর আগে বল লাফিয়ে উঠেছিল। অন্যরাও মিস করেছে। গোল পাইনি। তবে শেষ পর্যন্ত লড়াই করার চেষ্টা করেছি। অবশ্যই বলব আমরা আনলাকি।”