বার্সেলোনা ছাড়তে চেয়েছিলেন মেসি

২০১৩ সালে তার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির তদন্ত শুরু হওয়ার পর বার্সেলোনা ছাড়ার বিষয়ে চিন্তা করেছিলেন লিওনেল মেসি। ওই ভাবনার পেছনে যদিও ক্লাবঘটিত কোনো কারণ ছিল না।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Oct 2019, 02:32 PM
Updated : 9 Oct 2019, 02:32 PM

বার্সেলোনা ভিত্তিক একটি রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বুধবার কঠিন সেই সময়ের কথা তুলে ধরেন আর্জেন্টাইন তারকা।

“সত্যি বলতে, সেই সময় আমি চলে যাওয়ার কথা ভেবেছিলাম।”

তবে সেটা যে ক্লাবের কারণে নয় তাও স্পষ্ট করেন রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার।

“বার্সোলোনার কারণে না, আসলে আমি স্পেন ত্যাগ করতে চেয়েছিলাম। আমাকে খুব খারাপভাবে ট্রিট করা হয়েছিল এবং এখানে আমি আর থাকতে চাইছিলাম না।”

“অনেক ক্লাবের জন্য আমার দরজা খোলা ছিল। কিন্তু আমি কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাইনি, কারণ সবাই জানতো আমি এখানেই থাকতে চাই। পরিস্থিতিটা বার্সার প্রতি আমার অনুভূতিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল।”

সেই সময় স্পেন গভীর অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। যে কারণে কর ফাঁকিবাজদের প্রতি কঠোর হচ্ছিল স্পেন সরকার। তাকে শাস্তি দিয়ে কর কর্তৃপকক্ষ উদাহরণ দাঁড় করাতে চাইছিল বলে মনে করেন মেসি।

“আমি ছিলাম প্রথম এবং একারণে তারা আমার প্রতি কঠোর ছিল। তারা আমাকে উদাহরণ হিসেবে দাঁড় করাতে চাইছিল এবং বোঝাতে চাইছিল যে, সবার জন্যে একই পরিণতি অপেক্ষা করছে। ওই সময় ঘটা সব কিছুর জন্য সময়টা ছিল খুব কঠিন।”

২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইমেজ স্বত্ব থেকে আয়ের ওপর ৪২ লাখ ইউরো কর ফাঁকির দায়ে মেসি ও তার বাবা হোর্হেকে কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। অবশ্য স্পেনের আইন অনুযায়ী, সহিংস অপরাধ না করলে সাধারণত দুই বছরের নীচে সাজার ক্ষেত্রে কারাবাস হয় না।

আর্জেন্টিনা অধিনায়ককে ২০ লাখ ইউরো ও তার বাবাকে ১৫ লাখ ইউরো জরিমানাও করেছিল আদালত।

কারাদণ্ডের শাস্তি এড়াতে আরও আড়াই লাখ ইউরো জরিমানা দিতে হয়েছিল মেসিকে।

সেই সময় মেসির স্বদেশি ক্লাব সতীর্থ হাভিয়ের মাসচেরানো, রিয়াল মাদ্রিদের দুই তারকা খেলোয়াড় ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও মার্সেলোর বিপক্ষেও তদন্ত হয়েছিল। তাদের কর ফাঁকি দেওয়ার প্রমাণও মিলেছিল। পরে তারও জরিমানা দিয়ে পার পেয়েছিলেন।