‘মেসির কথায় কেঁদেছিল সতীর্থরা’

ব্রাজিল বিশ্বকাপের শেষটা হয়েছিল অশ্রুসিক্ত চোখে। পরের দুই বছরের কোপা আমেরিকার ফাইনালে হেরে নুইয়ে পড়েছিলেন হতাশায়। হতাশা পিছু ছাড়েনি গত আসরেও। তবে এবারে লিওনেল মেসি ছিলেন অনুপ্রেরণাদায়ী। জুন-জুলাইয়ের মহাদেশ সেরার আসর থেকে বিদায় নেওয়ার পর তার কথায় নাকি সতীর্থদের চোখে পানি চলে এসেছিল, জানিয়েছেন আনহেল দি মারিয়া।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Oct 2019, 12:56 PM
Updated : 3 Oct 2019, 01:41 PM

ক্যারিয়ারে রেকর্ড ছয়বার জিতেছেন বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার। ক্লাব ফুটবলে সব শিরোপা জিতেছেন একাধিকবার। বার্সেলোনার ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ফুটবলার তিনি। তবে জাতীয় দলের হয়ে মেসির প্রাপ্তির ঝুলি একেবারে শূন্য।

সফলতার খুব কাছে গিয়েছিলেন বেশ কবার। ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে হেরে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। পরের দুই বছরের দুটি কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির কাছে টাইব্রেকারে হারে মেসিরা।

সম্ভাবনা ছিল এবারের কোপা আমেরিকায়ও। তবে গত জুলাইয়ে সেমি-ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে ২-০ গোলে হেরে স্বপ্ন ভাঙে দলটির।

এরপর পেরিয়ে গেছে প্রায় তিন মাস। ‘ইএসপিএন আর্জেন্টনা’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পেছন ফিরে তাকালেন দি মারিয়া। ওই হারের পর তাদের ড্রেসিং রুমে কি হয়েছিল-জানালেন পিএসজির এই মিডফিল্ডার।

“আমরা ব্রাজিলের কাছে হেরে বিদায় নেওয়ার পর মেসি দারুণ কিছু কথা বলেছিল। মেসি বলেছিল, আমাদের যে দলটি গড়েছি তা নিয়ে সে গর্বিত।”

“বলেছিল, ‘আমরা বেশি দিন যাবৎ একত্রে নেই কারণ, কয়েক জন মূল দলে এর আগে ডাক পায়নি। তারপরও মনে হচ্ছে যেন, আমরা অনেক বছর ধরে একসঙ্গে খেলছি’।”

“সে বলেছিল, ‘প্রথম দিন থেকে আমরা একই লক্ষ্যে পথ চলেছি।’ তরুণ খেলোয়াড়রা এই জার্সির প্রতি যেমন নিবেদন দেখিয়েছে তাতে সে তাদেরকে নিয়ে গর্বিত...তার কথা শেষ হওয়ার সময় সবার চোখ ছিল অশ্রুসিক্ত। কারণ, তার কথা সবার মন ছুঁয়ে গিয়েছিল, বিশেষ করে তরুণদের।”

মেসির মতো আন্তর্জাতিক ফুটবলে এখনও কোনো শিরোপা জয়ের স্বাদ পাননি ২০০৮ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া দি মারিয়াও। দুজনেরই বয়স পেরিয়ে গেছে ত্রিশের কোঠা। আগামী বছর হতে যাওয়া কোপা আমেরিকা ও ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ তাই দুজনেরই শিরোপা খরা ঘোচানোর সুযোগ।

রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই মিডফিল্ডারের মতে, কোপা আমেরিকার গত আসর ‘নতুন এক মেসি’-কে দেখিয়েছে।

“তাকে ঘিরে অনেক সমালোচনা ছিল-সে জাতীয় সঙ্গীত গায় না, সে কথা বলে না। কোপা আমেরিকা ছিল ভিন্ন। সে এটা প্রমাণ করেছে। আমাকে যা সবচেয়ে খুশি করেছে তা হলো সে যেভাবে সবার সামনে কথা বলেছিল, যেভাবে সে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে।”

“গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো লিও এরকম। আমি এই মেসিকে পছন্দ করি।”