টিটি ফেডারেশনকে সেতু-মানসের লিগ্যাল নোটিশ

এসএ গেমসের ক্যাম্প থেকে বাদ পড়া দুই টেবিল টেনিস খেলোয়াড় ফেডারেশনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন আইনগতভাবে উত্তর দেওয়ার কথা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2019, 11:38 AM
Updated : 1 Oct 2019, 12:44 PM

পেশাগত কারণে ক্যাম্পের অনুশীলনে নিয়মিত না থাকার কারণে সালেহা পারভীন সেতু ও মানস চৌধুরীকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পের দল থেকে বাদ দেয় বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশন।

২০১০ সালের এসএ গেমসে ব্রোঞ্জ জেতা সেতু শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে জড়িত। পেশাগত কারণে ক্যাম্পে দুই বেলা অনুশীলনের পরিবর্তে একবেলা অনুশীলন করছিলেন তিনি।

জাতীয় পর্যায়ে এককে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মানস পেশায় একজন দন্ত চিকিৎসক। গত ২৫ অগাস্ট ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার পর পেশাগত কাজের জন্য ছুটি নিয়ে চট্টগ্রামে আছেন। লিগ্যাল নোটিশে দুজনে তাদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) নির্দেশনা অনুযায়ী সেতু ও মানসকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর।

“বিষয়টা আমি পরিষ্কার বলতে চাই, আমাদের কাছে অলিম্পিকের নির্দেশনা আছে; যারা নিয়ম মেনে ক্যাম্পে দুই বেলা অনুশীলন করবে তাদের মধ্যে থেকে বাছাই করা হবে কে থাকবে, কে থাকবে না এবং চূড়ান্ত বাছাইয়ে তাদেরকে বিবেচনা করা হবে।”

“লিগ্যাল নোটিশ নিয়ে আমাদের কোনো ভাবনা নেই। তারা হয়ত মনে করেছে, তাদের আইনগত সুবিধা নেওয়া উচিত। তাই তারা নোটিশ পাঠিয়েছে। আমরাও আইনগতভাবে উত্তর দিব।”

অনুরোধ করেও ফেডারেশনের কাছ থেকে সাড়া না পাওয়ায় লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান মানস।

‘তাদেরকে অনেক অনুরোধ করেছি কিন্তু কাজ হয়নি। তারা এখন নিয়ম দেখাচ্ছে, অলিম্পিকের দোহাই দিচ্ছে। তারা দেশের কথা ভাবছে না। এর আগেও তো আমি চট্টগ্রামে থেকে অনুশীলন করে এসএ গেমস, কমনওয়েলথ গেমসে খেলেছি।”

“আমি তো তাদেরকে বলিনি আমাকে সরাসরি চূড়ান্ত দলে নিয়ে নেওয়া হোক। আমি অনুরোধ করেছি আমাকে দল চূড়ান্ত করার বাছাইয়ে খেলার সুযোগ দেওয়া হোক। যদি বাছাইয়ে জিততে না পারি, সফল না হই, তাহলে আমাকে নিবে না।”

আগামী ডিসেম্বরে নেপালে শুরু হবে এসএ গেমসের (দক্ষিণ এশিয়ান গেমস) পরের আসর।