এমিরেটস স্টেডিয়ামে রোববার ৩-২ গোলে জিতেছে আর্সেনাল। গত অগাস্টের মাঝামাঝি বার্নলির বিপক্ষে জয়ের পরের পর তিন লিগ ম্যাচের দুটিতে ড্র ও একটিতে হেরেছিল তারা।
নিজেদের মাঠে প্রথমার্ধে বলের নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে থাকলেও গোলের দেখা পায়নি আর্সেনাল। বরং ২০তম মিনিটে আনোয়ার এল ঘাজির বাড়ানো ক্রস ধরে জন ম্যাকগিন ঠাণ্ডা মাথায় লক্ষ্যভেদ করলে পিছিয়ে পড়ে তারা।
৪১তম মিনিটে আরেকটি ধাক্কা খায় আর্সেনাল। নেইল টেইলরকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ইংলিশ ডিফেন্ডার এইন্সলি মেইটল্যান্ড-নাইলস।
স্পট কিকে ৫৯তম মিনিটে আর্সেনালকে সমতায় ফেরান নিকোলাস পেপে। গানারদের হয়ে গোলের খাতা খুললেন কোত দি ভোয়ার ২৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। ডি-বক্সে মাতেও গেনদুজি ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় আর্সেনাল।
৬৯তম মিনিটে ডি-বক্সের একটু বাইরে থেকে গেনদুজির জোরালো শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দেওয়ার পর কাছের পোস্টে লেগে ফিরলে হতাশা বাড়ে আর্সেনালের। এরপর সক্রাতিসের হেড, পিয়েরে-এমেরিক আউবামেয়াংয়ের শট পারেনি সমতা ফেরাতে।
ক্যালাম চেম্বার্সের ৮১তম মিনিটের গোলে ম্যাচে ফেরে আর্সেনাল। গেনদুজির ক্রস ধরে দুর্বল শটে বল হারানোর পর ফের ফিরে পেয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন এই ইংলিশ ডিফেন্ডার।
তিন মিনিট পর দারুণ এক ফ্রি-কিকে জয়সূচক গোলটি করেন আউবামেয়াং। বাকিটা সময় এ গোল আগলে রেখে স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি।
ছয় ম্যাচে তিন জয় ও দুই ড্রয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে আর্সেনাল।
চেলসিকে ২-১ গোলে হারানো লিভারপুল ছয় ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। শনিবার ওয়াটফোর্ডকে ৮-০ গোলে হারানো ম্যানচেস্টার সিটি ১৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুই নম্বরে।
তৃতীয় স্থানে থাকা লেস্টার সিটির পয়েন্ট ১১।
রোববারের আরেক ম্যাচে ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের মাঠে ২-০ গোলে হেরেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ইউনাইটেড ও চেলসির পয়েন্ট সমান ৮ করে।