দুঃসময়ে খেতে দেওয়া সেই মেয়েদের খোঁজে রোনালদো

ফুটবল প্রতিভায় আজ তিনি বিশ্বসেরা। ক্যারিয়ারে টানা দুবছর হয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা অ্যাথলেট। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন কেউ তাকে চিনতো না, দুবেলা কি খাবেন-তা নিয়ে ভাবতে হতো। পেছনে ফেলে আসা কষ্টের সে স্মৃতি ভোলেননি আজকের বিশ্বসেরা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, বরং খুঁজে ফিরছেন সেই ছোট্ট বেলায় তাকে বার্গার খেতে দেওয়া ম্যাকডোনাল্ডসের ‘সেলসগার্ল’ এদনা ও তার সঙ্গে থাকা অন্য দুই মেয়েকে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2019, 10:44 AM
Updated : 20 Sept 2019, 11:56 AM

সম্প্রতি ‘গুড মর্নিং ব্রিটেন’ নামের এক টিভি অনুষ্ঠানের জন্য পিয়ার্স মর্গ্যানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন রোনালদো। দৃঢ় প্রত্যয়ে জানান ক্যারিয়ারে আগামীর লক্ষ্যের কথা। আবার ছোট্ট বেলায় হারানো বাবার সঙ্গে একটি ভিডিও দেখে কেঁদে ফেলেন রোনালদো। দীর্ঘ এই সাক্ষাৎকারে উঠে আসে তার ছোট বেলার কথা যখন তার বয়স ১১-১২ বছর।

“আমি যখন শিশু ছিলাম, ১১ বা ১২ বছর বয়স। আমাদের অর্থ ছিল না। লিসবনে আমরা সবাই এক জায়গাতেই থাকতাম যেমনটা অন্য খেলোয়াড়রাও থাকতো। তরুণ খেলোয়াড়রা।“

“প্রতি তিন মাসে আমি আমার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যেতাম। বিষয়টা কষ্টের ছিল। পরিবার ছাড়া খুব কষ্টের একটা সময়।” 

“রাত সাড়ে ১০টা বা ১১টার দিকে আমাদের ক্ষুধা পেতো। স্টেডিয়ামে আমরা যেখানে থাকতাম তার পাশেই ম্যাকডোনাল্ডস ছিল। সবসময় আমরা পেছন দিয়ে গিয়ে দরজায় নক করতাম, “হেই, কিছু বার্গার কি বেঁচে গেছে?”

“এদনা ও আরও দুজন মেয়ে, ওরা অবিশ্বাস্য রকমের ভালো ছিল। আমি ওই মেয়েদেরকে আর কখনও খুঁজে পাইনি। ওই মেয়েদেরকে খুঁজতে আমি পর্তুগালে কিছু মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি, কিন্তু খুঁজে পাইনি।”

“তারা ওই ম্যাকডোনাল্ডসটা বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে আমি আশা করি, এই সাক্ষাৎকার ওই মেয়েদের খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। আমি তাদের তুরিনে অথবা লিসবনে আমার সঙ্গে ডিনারে নিমন্ত্রণ করতে চাই কারণ আমি তাদের কিছুটা ফিরিয়ে দিতে চাই।”