ধর্ষণের অভিযোগে 'বিব্রত' ছিলেন রোনালদো

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগে বিব্রত বোধ করেছিলেন পর্তুগালের তারকা ফরোয়ার্ড ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। সন্তান ও পরিবারের সামনে নিজের সততা ও আত্মসম্মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠাকে খুব কঠিন পরিস্থিতি বলে মনে করেন পাঁচবারের বর্ষসেরা এই ফুটবলার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Sept 2019, 10:11 AM
Updated : 18 Sept 2019, 09:26 AM

গত বছরের অক্টোবরে ক্যাথরিন মায়োরগা নামে যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালে রোনালদো তাকে লাস ভেগাসের একটি হোটেল কক্ষে ধর্ষণ করেছিলেন। চলতি বছরের জুলাইয়ে এক বিবৃতিতে লাস ভেগাসের কৌঁসুলিরা জানান, ওই অভিযোগ প্রমাণ করা যাচ্ছে না। এজন্য ৩৪ বছর বয়সী রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ গঠন করা হচ্ছে না বলেও জানান তারা।

‘গুড মর্নিং ব্রিটেন’ নামের এক টিভি অনুষ্ঠানের জন্য পিয়ার্স মর্গ্যানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সে সময়ে নিজের মানসিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেন রোনালদো।

“তারা আপনার আত্মসম্মান নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এটা খুব কঠিন। আপনার একজন গার্লফ্রেন্ড আছে, পরিবার আছে, সন্তান আছে। যখন তারা আপনার সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, এটা অনৈতিক, এটা কঠিন।”

“আমার মনে পড়ে, একদিন আমি বাড়িতে লিভিং রুমে আমার গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে টেলিভিশনে খবর দেখছিলাম। আর তারা বলছিল ‘ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো এটা করেছে, ওটা করেছে।’”

“আমি শুনতে পেলাম যে আমার সন্তানরা সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসছে এবং আমি চ্যানেলটা বদলে দিলাম কারণ আমি বিব্রত বোধ করছিলাম। আমি ক্রিস্তিয়ানো জুনিয়রের জন্য চ্যানেল বদলে দিয়েছিলাম। যেন সে দেখতে না পারে যে তারা খুব খারাপ একটা বিষয়ে তার বাবাকে নিয়ে খারাপ কিছু বলছে।”

আদালতের নথি অনুসারে, ২০১০ সালে আদালতের বাইরে রোনালদোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে  সমঝোতায় পৌঁছেছিলেন মায়োরগা। তিন লাখ ৭৫ হাজার ডলারের বিনিময়ে কখনও এই অভিযোগ প্রকাশ না করার ব্যাপারে রাজি হন তিনি। রোনালদোর আইনজীবীরা ২০০৯ সালে লাস ভেগাসে দুজনের সাক্ষাতের বিষয়টি অস্বীকার করেননি। তবে দাবি করেন, দুজনের মধ্যে যা-ই হয়েছিল, পারস্পরিক সমঝোতায় হয়েছিল।

সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে রোনালদোকে তার বাবার সঙ্গে একটি ভিডিও দেখানো হয় যেটা দেখে কেঁদে ফেলেন ইউভেন্তুস তারকা। ২০০৫ সালে মাত্র ৫২ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন রোনালদোর বাবা জোসে দিনিস আভেইরো।

“তিনি আমার পুরস্কার নেওয়াটা দেখতে পারছেন না। আমার পরিবার দেখছে, আমার মা, আমার ভাইয়েরা … এমনকি আমার ছেলেও দেখছে। কিন্তু আমার বাবা কিছুই দেখতে পারলেন না।”

“সত্যি কথা বলতে আমি আমার বাবাকে শতভাগ জানি না। তিনি ছিলেন একজন মদ্যপ ব্যক্তি। আমি কখনও তার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কথা বলতাম না।”