তাজিকিস্তানের দুশানবের পামির স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ সালের এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ১-০ গোলে হারে বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের কাছে টানা দুই ম্যাচ হারল বাংলাদেশ। ২০১৫ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আগের দেখায় ৪-০ গোলে হেরেছিল তারা।
শুরু থেকে রক্ষণ জমাট রেখে খেলতে থাকা বাংলাদেশের গোলরক্ষককে তেমন কোনো পরীক্ষা নিতে পারছিল না ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা আফগানিস্তান। ২১তম মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট নেয় আগের ম্যাচে কাতারের কাছে ৬-০ গোলে হেরে আসা দলটি। সহজেই তা ফেরান গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা।
২৭তম মিনিটে সেট পিস থেকে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ফ্রি কিকে আফগান অধিনায়ক ফারশাদ নুরের হেড লাফিয়ে ফিস্টের চেষ্টা করে আটকাতে পারেননি রানা। বল গ্লাভস ছুঁয়ে জালে জড়ায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও বাংলাদেশের কৌশলে বদল হয়নি। খেলতে থাকে রক্ষণ জমাট রেখে। ৪৮তম মিনিটে রানার বুদ্ধিদ্বীপ্ত সেভে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়নি। প্রতিপক্ষের ফরোয়ার্ড বলের নাগাল পাওয়ার আগেই ছুটে এসে বিপদমুক্ত করেন গোলরক্ষক। একটু পর জুবায়ের আমিরির কাছের পোস্টে নেওয়া শটও ফেরান তিনি।
৫৭তম মিনিটে বিপলু আহমেদকে তুলে রবিউল হাসানকে নামান কোচ। বাছাইয়ের প্রথম রাউন্ডে লাওসের মাঠে জেতা ম্যাচে একমাত্র গোলটি করেছিলেন ২০ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। ছয় মিনিট পর সতীর্থের বাড়ানো বলে ঠিকঠাক হেড নিতে পারেননি টুটুল হোসেন বাদশা। সমতায় ফেরার সুযোগ নষ্ট হয় বাংলাদেশের।
গোলের আশায় একটু একটু করে ওপরে উঠতে শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু রবিউল, নাবীব নেওয়াজ জীবনরা শেষ পর্যন্ত এনে দিতে পারেননি কাঙ্ক্ষিত গোল।
এ জয়ে ফিফা স্বীকৃত ম্যাচের পরিসংখ্যানে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে গেলো আফগানরা। সাত দেখায় আফগানিস্তানের জয় দুটি, বাংলাদেশের একটি, বাকি চার ম্যাচ ড্র। ১৯৭৯ সালে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ৪-১ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ।
‘ই’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আগামী ১০ অক্টোবর বিশ্বকাপের স্বাগতিক কাতারের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে।