তাজিকিস্তানের দুশানবেতে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ সালের এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম লেগে মুখোমুখি হবে দল দুটি।
ফিফা স্বীকৃত ম্যাচের পরিসংখ্যানে দুই দল সমানে সমান। ছয় দেখায় জয় একটি করে। ১৯৭৯ সালে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ৪-১ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। ২০১৫ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ৪-০ গোলে জিতেছিল আফগানিস্তান। বাকি চার ম্যাচ ড্র।
“ছেলেরা ভালোভাবে অনুশীলন করেছে। তাদের প্রস্তুতি ম্যাচের পারফরম্যান্সেও আমি খুশি। তবে ভালো একটি দলের বিপক্ষে খুব কঠিন একটা ম্যাচ হবে। আমরা সামনের দিকে তাকিয়ে আছি।”
“আফগানিস্তান ভালো দল, তারা হেরেছে কাতারের কাছে, যারা বিশ্বকাপের আয়োজক। আমি বিশ্বাস করি না, তাদের আগের ম্যাচের হারে আমাদের কোনো সুবিধা আছে।”
“পরিসংখ্যানও দেখাচ্ছে ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য কঠিন হবে, কেননা ১৯৭৯ সালের পর তারা আফগানিস্তানকে হারাতে পারেনি। তাই আমরা যদি ইতিবাচক একটা ফল পাই, তাহলে সেটা চমৎকার একটা অর্জন হবে।”
টার্ফের সঙ্গে মানিয়ে নিতে মাসের শুরুতে তাজিকিস্তানে পাড়ি জমায় দল। তাজিক লিগের দল এফসি কুকতোশের কাছে ২-০ গোলে হারের পর সিএসকেএ পামিরের সঙ্গে ১-১ ড্র করা ম্যাচেও শিষ্যদের পরখ করে নিয়েছেন বাংলাদেশ কোচ।
দেশে থাকতে রক্ষণ সামলে প্রতিআক্রমণে মনোযোগী হওয়ার ছকে খেলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ডে। চূড়ান্ত কৌশল নিয়ে কোনো ইঙ্গিত না দিলেও এই ইংলিশ কোচ জানালেন আফগানদের বিপদে ফেলার প্রত্যয়।
“সবাই প্রস্তুত। আশা করি আমরা ভালো খেলব এবং যে কৌশলই ব্যবহার করি না কেন আফগানিস্তানকে সমস্যায় ফেলতে পারব।”
“আফগানিস্তান খুবই শক্তিশালী দল। দুই দলের মধ্যে কঠিন লড়াই হবে। আমরা এখানে এসে নয় দিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি এবং পুরো পয়েন্ট পেতে সর্বোচ্চটা দিতে প্রস্তুত।”
২০১৫ সালের সেই বড় জয়ের ম্যাচে খেলা আনুশ দস্তগির এখন আফগানিস্তানের কোচ। বাংলাদেশ সম্পর্কে ভালো জানাশোনা থাকার প্রসঙ্গ টেনে জানালেন জয়ের আশাবাদ।
“বাংলাদেশ ম্যাচটি ভিন্ন একটা ম্যাচ হবে, ভিন্ন পদ্ধতি এবং কৌশলে খেলা হবে, কাতার ম্যাচের মতো হবে না। আমরা জানি বাংলাদেশ ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে। কিন্তু আমাদের জিততে হবে।”
“আমরা একবারই তাদের হারিয়েছি। খেলোয়াড় হিসেবে ২০১৫ সালের ওই ম্যাচে আমি ছিলাম। আমরা তাদের ফুটবল সম্পর্কে জানি। তাদের কিছু ম্যাচ দেখেছি, লিগ সম্পর্কে জানি। এটা ভিন্ন একটা ম্যাচ হবে।”