রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন নাদাল

শ্বাসরুদ্ধকর এক ফাইনালের সাক্ষী হলো নিউ ইয়র্কের ফ্লাশিং মেডোজ। দানিল মেদভেদেভের বিপক্ষে যে লড়াইয়ে জিতে ইউএস ওপেনের শিরোপা জিতে নিলেন রাফায়েল নাদাল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Sept 2019, 04:10 AM
Updated : 9 Sept 2019, 07:23 AM

প্রথমবারের মতো কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে ওঠা মেদভেদেভের বিপক্ষে রোববারের শিরোপা লড়াইয়ে পরিষ্কার ফেভারিট ছিলেন নাদাল। প্রথম দুই সেট জিতে অনায়াস জয়ের সম্ভাবনাই জাগিয়েছিলেন স্প্যানিশ তারকা। কিন্তু এরপরই দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ান মেদভেদেভ। অবিশ্বাস্যভাবে জিতে নেন পরের দুই সেট।

শেষ পর্যন্ত অবশ্য টেনিস ইতিহাসের অন্যতম অঘটনের জন্ম দিতে পারেননি এই রুশ তরুণ। সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতা দিয়ে স্নায়ুর চাপকে হারিয়ে শেষ সেট জিতে ক্যারিয়ারের ১৯তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা উঁচিয়ে ধরেন নাদাল।

চার ঘণ্টা ৫০ মিনিটের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ৭-৫, ৬-৩, ৫-৭, ৪-৬, ৬-৪ গেমে জয় নিশ্চিত করেন দ্বিতীয় বাছাই হিসেবে টুর্নামেন্ট শুরু করা নাদাল। ইউএস ওপেনের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ফাইনালের চেয়ে মাত্র চার মিনিট সময় কম লাগলো এবারের শিরোপা লড়াইয়ে।

ক্লে কোর্টের রাজা নাদালের এটা চতুর্থ ইউএস ওপেন শিরোপা। এখানে আগের তিনটি শিরোপা জিতেছিলেন ২০১০, ২০১৩ ও ২০১৭ আসরে। এবারের জয়ে রেকর্ড ২০ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন রজার ফেদেরারকে ছোঁয়ার আরেক ধাপ কাছে পৌঁছে গেলেন ৩৩ বছর তারকা। ফরাসি ওপেনেই জিতেছেন ১২টি শিরোপা!

রোববার তৃতীয় ম্যাচ পয়েন্ট জয়ের পর কোর্টের উপরে শুয়ে পড়েন নাদাল। হাত দিয়ে মুখ ঢাকলেন, যেন মুহূর্তের মধ্যে পেছন ফিরে রোমন্থন করলেন দুর্দান্ত এক পথচলার স্মৃতি, যেখানে যোগ হলো নতুন এক সাফল্যের গল্প।

"আমার টেনিস ক্যারিয়ারে এটা অন্যতম এক আবেগঘন রাত। চমৎকার এক ফাইনাল হলো, দুর্দান্ত এক ম্যাচ।"

গত জুনে ফরাসি ওপেনে রেকর্ড দ্বাদশ শিরোপা জয়ের পর চলতি বছরে এ নিয়ে দ্বিতীয় মেজর জিতলেন নাদাল।

প্রথমবারের মতো এত বড় মঞ্চে এসেই বাজিমাত করার উপলক্ষ প্রায় তৈরি করে ফেলেছিলেন মেদভেদেভ। শেষ পর্যন্ত স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ায় শূন্য দৃষ্টিতে অনেকটা সময় তাকিয়ে ছিলেন ২৩ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়। পরে অশ্রুসিক্ত চোখে প্রতিপক্ষকে অভিনন্দন জানান মেদভেদেভ।

"আমি রাফাকে অভিনন্দন জানাতে চাই, ১৯টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা অবিশ্বাস্য কিছু।"

মাঠের বড় স্ক্রিনে তখন নাদালের সব সাফল্যের একটি ভিডিও চলছে। নিজের হতাশা ভুলে মুগ্ধ দৃষ্টিতে সেদিকে তাকিয়ে ছিলেন মেদভেদেভ।