প্রতিপক্ষের মাঠে বৃহস্পতিবার ‘এফ’ গ্রুপের পঞ্চম রাউন্ডে ২-১ গোলে জিতেছে শেষ দিকে এক জন কম নিয়ে খেলা স্পেন।
পাঁচ ম্যাচের সবকটিতে জিতে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষস্থান মজবুত করল স্পেন।
ম্যাচের শুরু থেকে রোমানিয়ার রক্ষণকে চেপে ধরা স্পেন এগিয়ে যেতে পারতো প্রথম মিনিটেই। তবে স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড পাকো আলকাসেরের দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া শট দারুণ নৈপুণ্যে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক সিপরিয়ান তাতারুসানু। একাদশ মিনিটে আবারও গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় গোলবঞ্চিত তিনবারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।
২৯তম মিনিটে ডিফেন্ডার রামোসের সফল স্পট কিকে এগিয়ে যায় অতিথিরা। সম্প্রতি রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ধারে আর্সেনালে যোগ দেওয়া মিডফিল্ডার দানি সেবাইয়োস ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় তারা। জাতীয় দলের হয়ে অধিনায়ক রামোসের এটি ২১তম গোল।
এই গোলের আগে ও পরে গোলরক্ষক তাতারুসানুর আরও দুটি দারুণ সেভে বিরতির আগে ব্যবধান আর বাড়েনি।
পাসিং ফুটবলের পসরা মেলে ধরে দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে সবশেষ ২০১২ সালে ইউরো জয়ীরা। বাঁ থেকে জর্দি আলবার পাস ছোট ডি-বক্সের বাইরে পেয়ে অনায়াসে জালে ঠেলে দেন চলতি মৌসুমে এরই মধ্যে বরসিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে চার গোল করা আলকাসের।
কোণঠাসা হয়ে পড়া রোমানিয়া ৫৯তম মিনিটে ফরোয়ার্ড ফ্লোরিন আন্দোনের হেডে ব্যবধান কমায়।
৭৯তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ছুটে যাওয়া রোমানিয়ার ফরোয়ার্ড পুসকাসকে ডি-বক্সের মুখে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন স্পেনের ফের্নান্দো লরেন্তে। বাকি সময়ে প্রতিপক্ষ শিবিরে এক জন কম থাকায় ম্যাচে ফেরার ভালো সম্ভাবনা তৈরি হয় স্বাগতিকদের।
যোগ করা সময়ে মুহূর্তের ব্যবধানে দারুণ দুটি সুযোগও পেয়েছিল তারা; কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ে স্পেন। আগামী রোববার পরের ম্যাচে ২০১০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ঘরের মাঠে ফারো আইল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে।
ফারো আইল্যান্ডসকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া সুইডেন ১০ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুই নম্বরে। আর মাল্টাকে ২-০ গোলে হারানো নরওয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে আছে তৃতীয় স্থানে।