ইউভেন্তুস স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে লিগের ম্যাচটি ৪-৩ গোলে জিতেছে স্বাগতিকরা। আসরে শিরোপাধারীদের এটা টানা দ্বিতীয় জয়।
দুর্দান্ত এক পাল্টা আক্রমণে ম্যাচের ষোড়শ মিনিটে এগিয়ে যায় ইউভেন্তুস। বল পায়ে নিজেদের সীমানা থেকে ক্ষিপ্র গতিতে ছুটে ডি-বক্সে ঢুকে ছোট করে পাস বাড়ান দগলাস কস্তা। আর পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে নিচু শটে বল জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানিলো। আগের মিনিটেই চোট পাওয়া ডিফেন্ডার মাত্তিয়া দে শিলিওর বদলি নামা দানিলোর বলে এটাই ছিল প্রথম ছোঁয়া।
তিন মিনিট পর হিগুয়াইনের নৈপুণ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় টানা আটবারের চ্যাম্পিয়নরা। সতীর্থের পাস ডি-বক্সে পেয়ে প্রথম টোকায় এক ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে জোরালো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে গোলটি করেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার।
৩৩তম মিনিটে জার্মান মিডফিল্ডার সামি খেদিরার ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট ক্রসবারে প্রতিহত হয়।
৬২তম মিনিটে আরেকটি দারুণ আক্রমণে ব্যবধান বাড়ায় ইউভেন্তুস। ম্যাচ জুড়ে আলো ছড়ানো দগলাস কস্তার কাটব্যাক পেনাল্টি স্পটের কাছে পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় প্লেসিং শটে মৌসুমে প্রথম গোল করেন রোনালদো।
তিন গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়ানো নাপোলি দুই মিনিটের ব্যবধানে দুবার জালে বল পাঠায়।
৬৬তম মিনিটে সতীর্থের ক্রস ছোট ডি-বক্সের মুখে পেয়ে হেডে দলের প্রথম গোলটি করেন গ্রিক ডিফেন্ডার কোস্তাস মানোলাস। আর বাঁ দিক থেকে সতীর্থের পাস ডি-বক্সে পেয়ে প্লেসিং শটে ব্যবধান আরও কমান গত সপ্তাহে নাপোলিতে যোগ দেওয়া মেক্সিকোর উইঙ্গার লোসানো।
কিন্তু শেষের ওই এক ভুলে চরম হতাশা নিয়ে ফিরতে হয় অতিথিদের। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে মিরালেম পিয়ানিচের ফ্রি-কিকে তেমন কোনো বিপদের হুমকি আসলে ছিল না। তা রুখতে পা বাড়িয়ে দেন গত আসরের সেরা ডিফেন্ডার কলিবালি। বল তার পায়ে লেগে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে চলে যায় জালে। রোমাঞ্চকর এক জয়ের উল্লাসে মেতে ওঠে ইউভেন্তুস।