গত মৌসুম শেষে ওয়েস্ট হ্যাম ছেড়েছিলেন আদ্রিয়ান। বেলজিয়ান গোলরক্ষক সিমোন মিনোলে গ্রীষ্মকালীন দল-বদলে অ্যানফিল্ড ছাড়লে দ্বিতীয় গোলরক্ষক হিসেবে ৩২ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়কে নেয় লিভারপুল।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নরিচ সিটির বিপক্ষে মৌসুমে লিভারপুলের প্রথম ম্যাচে পায়ের মাংসপেশিতে চোট পেয়ে প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক আলিসন মাঠ ছাড়লে বদলি হিসেবে নামেন আদ্রিয়ান। আলিসন সেরে না ওঠায় চেলসির বিপক্ষে উয়েফা সুপার কাপে শুরুর একাদশে জায়গা পেয়ে টাইব্রেকারে ট্যামি আব্রাহামের শেষ শটটি ফিরিয়ে দলকে জেতান অভিজ্ঞ এই গোলরক্ষক। এই পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেছেন লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ।
“কী একটা গল্প। সে নিজেকে শান্ত রাখল।”
“আমি মনে করি না যে সে তার জীবনে অনেক বেশি জিতেছে। তাই এটা জেতা তার জন্য ভালো। সে অবিশ্বাস্য কিছু সেভ করল, দুই দলের গোলরক্ষকই করল, তাই আমি তাকে নিয়ে খুব খুশি।”
সতীর্থকে নিয়ে গর্বিত ডিফেন্ডার ভার্জিল ভন ডাইকও।
“পেনাল্টির আগে আমি আদ্রিয়ানকে বলেছিলাম যে সে নায়ক হতে পারে। আর সে সেটা করল। তাই আমি তার ও ক্লাবের জন্য আনন্দিত।”
নিজের সময়টা দারুণ কাটছে বলে মনে করছেন আদ্রিয়ান।
“এটা ছিল রোমাঞ্চকর একটা সপ্তাহ। কিন্তু আমার সতীর্থদের সঙ্গে খেলাটা খুব সহজ।”
“ট্রফিটি পেয়ে আমি দলের জন্য সত্যিই খুশি। লিভারপুলের হয়ে খেলতে পারায় আমি খুব আনন্দিত।”
“এটা ছিল দীর্ঘ একটা ম্যাচ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটা ছিল আমাদের জন্য অসাধারণ একটা সমাপ্তি।”