বৃহস্পতিবার প্রমাণের অভাবে মামলাটির কার্যক্রম থামিয়ে দেওয়ার সুপারিশ মেনে নেন বিচারক। এর আগে ঐ দিন সাও পাওলোর দুই প্রসিকিউটর ৩০ জুলাই পুলিশের নেওয়া এই মামলায় চার্জ গঠন না করার সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। রাতে মামলার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারক।
গত মে মাসে ব্রাজিলের মডেল নাজিলা ত্রিনদাদে সাও পাওলো পুলিশের কাছে নেইমারের বিরুদ্ধে প্যারিসের একটি হোটেলে তাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে নেইমার বলেছিলেন দুইজনের সম্মতিতেই তাদের সম্পর্ক হয়েছিল। ত্রিনদাদে তার অভিযোগের পক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ হাজির করতে পারেননি বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান সাও পাওলোর দুই প্রসিকিউটর।
“যথেষ্ট প্রমাণ না থাকায় আমরা মামলাটির কার্যক্রম বন্ধের সুপারিশের পক্ষে সিদ্ধান্ত নিলাম।”
“পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা তাকে (ত্রিনদাদে) তার ফোনটিকে একটি কম্পিউটারে যুক্ত করতে বলেছিলেন, যাতে ফলে তিনি ভিডিওটি দেখতে পারে। কিন্তু সে (ত্রিনদাদে) তা করতে চায়নি। উপরন্তু সে তার ফোন হস্তান্তর করতে অস্বীকার করে। আর পরবর্তীতে সে জানায় যে তার ফোনটি চুরি হয়ে গেছে।”
ত্রিনদাদের একমাত্র চোট একটি আঙুলে বলেও জানান প্রসিকিউটর।
“তার দেওয়া একজন বেসরকারী চিকিৎসকের মেডিকেল রিপোর্টে এমন কোনও আঘাত দেখা যায়নি যা প্রমাণ করে যে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল।”
ত্রিনদাদে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন কিনা তা নিয়ে সাও পাওলো পুলিশ এখনও তদন্ত করছে। তার অভিযোগ নিয়ে তিনবার ত্রিনদাদেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এছাড়া আরও ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গত জুনে নেইমারের সঙ্গেও প্রায় পাঁচ ঘন্টা কথা বলে পুলিশ।
অবশ্য ত্রিনদাদের অভিযোগের সঙ্গে যুক্ত সাইবার ক্রাইমের একটি মামলায় এখনও নেইমারের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। ব্রাজিলের এই মডেল ধর্ষণের অভিযোগ করার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অনুমতি না নিয়ে তার একান্ত ব্যক্তিগত ছবি ও বার্তা প্রকাশ করেন পিএসজি ফরোয়ার্ড যা ত্রিনদাদের অনলাইন গোপনীয়তার লঙ্ঘন হতে পারে।