সুত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন এফসি তাদের এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, নেইমারকে ফেরাতে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করছে বার্সেলোনা। এদিকে পিএসজির স্পোর্টিং ডিরেক্টর লিওনার্দো নিশ্চিত করেছেন যে সঠিক দাম পেলে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলারকে বিক্রি করবে তারা।
২০১৭ সালে রেকর্ড ২২ কোটি ২০ লাখ ইউরো ট্রান্সফার ফিতে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেন ২৭ বছর বয়সী নেইমার। তার ক্লাব ছাড়ার প্রক্রিয়ায় ক্ষুব্ধ ছিলেন কাতালান ক্লাবটির অনেকেই।
সাবেক এই সতীর্থ ফিরলে ভীষণ খুশি হবেন বলে জানিয়েছেন পিকে। তবে নেইমারের বার্সেলোনায় ফেরাটা সহজ হবে না বলে মনে করেন বার্সেলোনার স্প্যানিশ ডিফেন্ডার।
“আমি মনে করি নেইমার অসাধারণ একজন খেলোয়াড় যে ড্রেসিংরুম, শহর ও ক্লাবটাকে জানে। সে যেভাবে ক্লাব ছেড়েছিল তাতে অনেকেই খুশি ছিল না। কিন্তু অনেকেই আছে যারা তার পারফরম্যান্সে ভীষণ খুশি ছিল। এটা জটিল একটা কাজ। সে পিএসজির একজন খেলোয়াড়। আর আমাদের যে স্কোয়াড আছে তা প্রত্যেকটা শিরোপা জেতার জন্য যথেষ্ট।”
“যদি সুযোগটা আসে, তার সঙ্গে আমার কেমন সম্পর্ক তা আপনারা জানেন। সে ফিরলে আমি উচ্ছ্বসিত হব। কিন্তু সে পিএসজির একজন খেলোয়াড়। একটা ব্যক্তিগত অভিমত কিছুই পাল্টাবে না।”
“নেইমারকেই কথা বলতে হবে। অবশ্যই আমরা তার সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু ব্যক্তিগত আলোচনা প্রকাশ করাটা ঠিক না। যদি সে তার ভাবনা নিয়ে বলতে চায় বা তার মত দিতে চায়, তাকে জনসম্মুখে আসতে হবে এবং এটা বলতে হবে। … কি ঘটে আমরা তা দেখার অপেক্ষায় আছি। আমি এর বেশি কিছু বলতে পারি না।”
জুলাইয়ে ১২ কোটি ইউরো দিয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে অঁতোয়ান গ্রিজমানকে কিনতে লোন নিতে হয়েছে বার্সেলোনাকে। তাই নেইমারের জন্য পিএসজির চাওয়া মূল্য পরিশোধ করা লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের জন্য যথেষ্ট কঠিন হবে। তাই তারা পিএসজিকে খেলোয়াড় বিনিময়ের প্রস্তাব দিতে পারে অথবা নেইমারকে কেনার আগে খেলোয়াড় বিক্রি করতে পারে। পরে কেনার শর্তে ধারে ২৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডকে দলে আনাও একটি পথ হতে পারে।
ইএসপিএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফিলিপে কৌতিনিয়োকে বিক্রি করতে আগ্রহী বার্সেলোনা। আগামী বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডে দল-বদলের সময় শেষ হওয়ার আগে প্রিমিয়ার লিগের কোনো ক্লাবের কাছে নাকি ব্রাজিলের এই ফুটবলারকে বিক্রি করতে চায় তারা। এই মিডফিল্ডারের সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে শোনা যাচ্ছে টটেনহ্যাম হটস্পারের নাম।
“কৌতিনিয়োর সঙ্গে কি ঘটবে আমি জানি না। অবশ্যই আমি চাই সে থাকুক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মূল বিষয় হলো সে কি চায় এবং আমি চাই সে খুশি থাকুক। দেখা যাক কি ঘটে।”
“সে থাকবে কিনা দল-বদলের শেষ দিনের আগ পর্যন্ত তা আমরা জানব না। কিন্তু সিদ্ধান্তটা আমার নয়, সিদ্ধান্তটা ক্লাবের ও ফিলিপের।”