ক্রুইফের প্রেরণায় বার্সায় নিজের ছাপ রাখতে উন্মুখ ডি ইয়ং

বার্সেলোনার সঙ্গে ইয়োহান ক্রুইফের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই কিংবদন্তির দেশ নেদারল্যান্ডস থেকে অনেক ফুটবলার যোগ দিয়েছেন কাতালান ক্লাবটিতে। এর সবশেষ সংযোজন ফ্রেংকি ডি ইয়ং। পূর্বসূরিদের পথে হেঁটে লা লিগার ক্লাবটিতে নিজের ছাপ রাখতে চান তরুণ এই মিডফিল্ডার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 July 2019, 12:24 PM
Updated : 29 July 2019, 12:25 PM

দলের সবাই নতুন ক্লাবে মানিয়ে নিতে তাকে সাহায্য করছে বলে জানিয়েছেন চলতি মাসে কাম্প নউয়ে পা রাখা ডি ইয়ং।

১৯৭০ দশকে রিনুস মিখেলস ও ক্রুইফের হাত ধরে বার্সেলোনায় যোগ হয় ডাচ ‘টোটাল ফুটবল’। এরপর থেকে পাত্রিক ক্লুইভার্ট ও রোনাল্ড কুমানদের মতো নেদারল্যান্ডসের অনেক ফুটবলারই খেলেছেন ক্লাবটিতে। আর এটা ক্রুইফের জন্যই সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন ডি ইয়ং।

“অবশ্যই তিনি ক্লাবটিকে কিছুটা বদলে দিয়েছিলেন। আর আমি মনে করি বার্সেলোনার ওপর তার প্রভাব সত্যি অনেক বড় ছিল।”

দুটি প্রাক-মৌসুম ম্যাচে এরই মধ্যে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন ডি ইয়ং। গত মৌসুমে আয়াক্সকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে তোলায় বড় অবদান রেখে আলোচনায় আসেন তিনি। নিখুঁত পাস দেওয়া ও প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ তৈরি করার সামর্থ্যের কারণে ২২ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়কে বার্সেলোনায় উপযুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

“আমরা সেটা নিয়ে আলাপ করেছি। আমি ট্রেইনারের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলেছি।”

“কিন্তু আমি মনে করি আয়াক্স ও বার্সেলোনার খেলার ধরন ও পরিকল্পনা কিছুটা একই রকমের। তাই এটা আমার জন্য তেমন বড় কোনো পার্থক্য নয়।”

বার্সেলোনায় মাঝ মাঠে সঙ্গী হিসেবে ডি ইয়ং পাচ্ছেন সের্হিও বুসকেতস, ইভান রাকিতিচদের মতো অভিজ্ঞদের। বুসকেতস ও রাকিতিচ তাকে মানিয়ে নিয়ে সাহায্য করছেন বলে জানান ডি ইয়ং।

“ক্লাবে সবাই আমাকে অনেক সাহায্য করছে, খেলোয়াড় থেকে শুরু করে স্টাফ পর্যন্ত।”

“গত কয়েক বছরে আমি বার্সেলোনার অনেক ম্যাচ দেখেছি। তাই আমি জানি যে তারা দুর্দান্ত খেলোয়াড়।”