ড্র করে আবাহনীর শিরোপা আশা প্রায় শেষ

দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে গোল হজম করে চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে ড্র করেছে আবাহনী লিমিটেড। এ ড্রয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের মুকুট ধরে রাখার আশা প্রায় শেষই হয়ে গেছে মারিও লেমোসের দলের।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 July 2019, 03:37 PM
Updated : 24 July 2019, 03:37 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার দুই দলের দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচটি ২-২ ড্র হয়। প্রথম পর্বে চট্টগ্রামের দলটিকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল আবাহনী।

২৩ ম্যাচে ১৮ জয় ও এক ড্রয়ে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে আবাহনী। ২১ ম্যাচে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বসুন্ধরা কিংস।

বুধবার বিকালে নীলফামারীতে বৃষ্টি ও বজ্রপাতে মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে বসুন্ধরার ম্যাচটি স্থগিত হয়ে যায়। আবাহনীর ড্রয়ে বাকি তিন ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট পেলেই অন্য কোনো হিসেব ছাড়াই শিরোপা জিতবে বসুন্ধরা।

গোলশূন্য প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম আবাহনীকে কোণঠাসা করে রাখলেও কাঙিক্ষত গোল পায়নি আবাহনী। ৪৪তম মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে মামুন মিয়ার শট ফিস্ট করে ফেরান গোলরক্ষক মোহাম্মদ নেহাল। এরপর মামুনুল ইসলাম ও নাবীব নেওয়াজ জীবনের কর্নারও ফেরান তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সতীর্থের ক্রসে জীবনের ডাইভিং হেড ফিরিয়ে আবারও চট্টগ্রাম আবাহনীর ত্রাতা নেহাল। ৫৬তম মিনিটে হাইতির ফরোয়ার্ড কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্টের দূরপাল্লার শটে অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে গেলে আবাহনীর হতাশা আরও বাড়ে।

অবশেষে ৬৩তম মিনিটে কাঙিক্ষত গোল পায় আগের ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিংকে ৪-১ ব্যবধানে উড়িয়ে আসা আবাহনী। ডি-বক্সের ভেতর থেকে মামুনের শট প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে জালে জড়ায়।

৭৪তম মিনিটে মামুনই আবাহনীকে বিপদে ফেলে দেন ডি-বক্সের মধ্যে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়কে ফাউল করে। কিরগিজস্তানের ফরোয়ার্ড দানিয়েল নিল আরমাহ স্পট কিক থেকে সমতা ফেরান।

দুই মিনিট পর একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে আক্রমণে ওঠা কৌশিক বড়ুয়ার শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে ক্রসবারে লেগে ফিরলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি চট্টগ্রামের দলটির।

৭৮তম মিনিটে রায়হান হাসানের থ্রো ইনের পর জীবনের শটে ফের এগিয়ে যায় আবাহনী। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ডি-বক্সের জটলার ভেতর থেকে চট্টগ্রাম আবাহনীকে সমতায় ফেরান নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড কিংসলে চিগোজি।

বুধবার অন্য ম্যাচে গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রকে ৬-১ ব্যবধানে হারিয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। ২২ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে তারা।

নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে ১-০ গোলে হারিয়েছে টিম বিজেএমসি। ১১ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে থাকা বিজেএমসির অবনমন আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে।