বসুন্ধরা কিংসের অপেক্ষা বাড়ল

শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে জিতলেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ জয়ের উৎসব সারতে পারত বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু হেরে গিয়ে অপেক্ষা বাড়ল নবাগত দলটির। অন্য ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিংকে হারিয়ে কাগজে কলমে শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনা টিকিয়ে রেখেছে আবাহনী লিমিটেড।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 July 2019, 03:29 PM
Updated : 20 July 2019, 03:54 PM

সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে শনিবার ১-০ গোলে হারে বসুন্ধরা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এক গোল হজমের পর ঘুরে দাঁড়িয়ে সাইফকে ৪-১ ব্যবধানে হারায় আবাহনী।

লিগে ২০ ম্যাচ অজেয় থাকার পর প্রথম হারের স্বাদ পেল বসুন্ধরা। ২১ ম্যাচে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে তারা। লিগ শিরোপা জিততে দরকার বাকি তিন ম্যাচ থেকে ৩ পয়েন্ট।

২২ ম্যাচে ১৮ জয়ে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে আবাহনী। মুকুট ধরে রাখতে হলে বাকি দুই ম্যাচে আবাহনীর শুধু জিতলেই চলবে না, বসুন্ধরার পরের ম্যাচগুলোর ফলের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে।

সিলেটে ম্যাচে ত্রয়োদশ মিনিটে আজিজভ আলিশেরের ফ্রি-কিক বসুন্ধরা গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর গ্লাভসে সরাসরি জমে যায়।

পাঁচ মিনিট পর মার্কোস দি সিলভার ভলি অল্পের জন্য ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি বসুন্ধরা কিংসের। ২২তম মিনিটে ভালেরি গোলরক্ষক বরাবর দুর্বল শট নিয়ে শেখ রাসেলকে হতাশ করেন।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে প্রতিআক্রমণ থেকে উজবেকিস্তানের ফরোয়ার্ড আলিশের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জাল খুঁজে নেন।

পিছিয়ে পড়ার পর ম্যাচে ফিরতে বসুন্ধরা মরিয়া হয়ে আক্রমণ শানালেও গোল পায়নি। দেনিয়েল কলিনদ্রেস সোলেরা, বখতিয়ার দুইশবেকভদের প্রচেষ্টা কখনও পোস্টের বাইরে দিয়ে উড়ে যায়, কখনও ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক।

আবাহনী হারলে বসুন্ধরা হেরেও শিরোপা জিতত। কিন্তু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে পিছিয়ে পড়েও জিতে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

৩৭তম মিনিটে জাফর ইকবালের হেড করে বাড়ানো বলে কলিম্বয়ার ফরোয়ার্ড দেইনের আন্দ্রেস করদোবার ভলিতে এগিয়ে যায় সাইফ।

৫০তম মিনিটে স্পট কিকে আবাহনীকে সমতায় ফেরান নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা। ডি-বক্সের মধ্যে নাবীব নেওয়াজ জীবনকে গোলরক্ষক ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।

এর কিছুক্ষণ পরই জুয়েল রানা ফাউলের শিকার হলে ফের পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। এ সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের খেলোয়াড়রা হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়ে। আবাহনীর মাসিহ সাইঘানি ও সাইফের এমেরি বাইসেনেগেকে লালকার্ড দেখান রেফারি। পরে স্পট কিকে আবাহনীকে এগিয়ে নেন জীবন।

৬৫তম মিনিটে দারুণ ভলিতে ব্যবধান আরও বাড়ান নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড চিজোবা। শেষ দিকে মামুনুল ইসলামের কর্নার সরাসরি জাল খুঁজে নিলে আবাহনীর জয় নিশ্চিত হয়ে যায় অনেকটাই।

ম্যাচ শেষের পর সাইফের খেলোয়াড়রা চড়াও হন রেফারির ওপর। এ কারণে সাইফের অধিনায়ক জামাল ভূইয়াকে লালকার্ড দেখান রেফারি। পুলিশ এসে শান্ত করে পরিস্থিতি।

২১ ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে সাইফ স্পোর্টিং। চার পয়েন্ট বেশি নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে শেখ রাসেল।

শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আগের ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ২-০ গোলে হারায় শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব।

দিনের অন্য ম্যাচে ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটিকে ৬-৩ ব্যবধানে হারিয়েছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ।