চিলিকে হারিয়ে কোপা আমেরিকায় তৃতীয় আর্জেন্টিনা

লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার আগে সের্হিও আগুয়েরোর গোল তৈরি করে দিলেন লিওনেল মেসি। প্রথমার্ধেই ব্যবধান বাড়ালেন পাওলো দিবালা। উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচে আক্রমণাত্মক খেলে চিলিকে হারিয়ে কোপা আমেরিকায় তৃতীয় হয়েছে আর্জেন্টিনা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2019, 09:01 PM
Updated : 7 July 2019, 10:08 AM

ব্রাজিলের সাও পাওলোয় শনিবার স্থানীয় সময় বিকালে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪বারের চ্যাম্পিয়নরা।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে আর্জেন্টিনা। সাফল্যও পেয়ে যায় দ্রুত। অন্যদিকে, বল দখলে আধিপত্য থাকলেও আক্রমণে তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি চিলি।

মেসির বুদ্ধিমত্তায় ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠে ফাউলের শিকার হয়ে ফ্রি-কিক পেয়েছিলেন। রেফারির বাঁশি শুনেই অপ্রস্তুত চিলির খেলোয়াড়দের মাঝ দিয়ে বল বাড়ান আগুয়েরোকে। ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে কাটিয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠান ম্যানচেস্টার সিটির এই স্ট্রাইকার।

১০ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ হয় পাল্টা আক্রমণে। মাঝমাঠ থেকে জিওভানি লো সেলসোর বাড়ানো বল দারুণ দক্ষতায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে জালে পাঠান দিবালা।

৩১তম মিনিটে মেসির উঁচু করে বাড়ানো বল ডি-বক্সে খুঁজে পেয়েছিল দিবালাকে। তবে লক্ষ্যভ্রষ্ট ভলিতে একটু কঠিন সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি এই আসরে প্রথমবারের মতো শুরুর একাদশে সুযোগ পাওয়া ইউভেন্তুসের এই ফরোয়ার্ড।

ম্যাচের শুরু থেকে বারবার দুদলের খেলোয়াড়রা বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ায় উত্তেজনা বাড়ছিল ক্রমশ। এমনই এক ঘটনায় ৩৭তম মিনিটে লাল কার্ড দেখেন মেসি। বল দখলের এক পর্যায়ে চিলির গারি মেদেলকে পেছন থেকে চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানো মেদেল মেসিকে বুক ও হাত দিয়ে ধাক্কা দেন। যদিও মেসি তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি, কিন্তু প্যারাগুয়ের রেফারি দুজনকেই সরাসরি লালকার্ড দেখান। এই ঘটনায় বেশ কিছুক্ষণ ধরে দুদলের খেলোয়াড়দের মধ্যে চলে বাক-বিতণ্ডা।

ক্যারিয়ারে এ নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বার লাল কার্ড দেখলেন মেসি।  ১৪ বছর আগে আন্তুর্জাতিক ফুটবলে অভিষেকে হাঙ্গেরির বিপক্ষে প্রথম লাল কার্ড দেখেছিলেন তিনি।

৫৯তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান আর্তুরো ভিদাল। লো সেলসো চিলির মিডফিল্ডার চার্লেস আরানগিসকে ফাউল করলে ভিডিও প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে স্পটকিকের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন রেফারি।

তিন মিনিটের ব্যবধানে দারুণ দুটি সুযোগ আগুয়েরো নষ্ট করলে ব্যবধান আর বাড়েনি। ৭৭তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে আনহেল দি মারিয়ার বাড়ানো বল ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে দুর্বল শট নেন তিনি। পরেরবার বাঁ দিক থেকে তার কোনাকুনি শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

কোপা আমেরিকার গত দুই আসরের ফাইনালে চিলির কাছেই টাইব্রেকারে হেরে শিরোপা স্বপ্ন ভেঙেছিল আর্জেন্টিনার। এবার ছিল না কোনো শিরোপার হাতছানি। তবে এই জয় ক্ষতে প্রলেপ হয়ে এল কিছুটা।