রিও দে জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রোববার রাত ২টায় শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল ও পেরু।
২০০৭ সালে সর্বশেষ কোপা আমেরিকার শিরোপা জেতা ব্রাজিল এবার ফাইনালে উঠে আসার পথে গোল হজম করেনি একটিও। অবশ্য কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছিল স্বাগতিকরা।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে সের্হিও আগুয়েরের হেড, লিওনেল মেসির শট পোস্টে লেগে ফিরেছিল। ওই ম্যাচে আর্জেন্টিনার দুটি পেনাল্টির আবেদনে রেফারি ভিএআর -এর সাহায্য নেননি, যা নিয়ে এখনও বিতর্ক চলছে। এরই মধ্যে কাসেমিরো জানালেন গোল না খাওয়ার লক্ষ্য।
“গোল না খেয়ে প্রতিযোগিতাটি শেষ করা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।”
“যদি আমরা কোনো গোল না খাই, তাহলে সে কৃতিত্ব কেবল রক্ষণভাগের নয়, আক্রমণভাগে থেকে যারা, আমাদের সহযোগিতা করে তাদেরও। আর এটা পার্থক্য গড়ে দেয়।”
কষ্টে গ্রুপ পর্ব পার হওয়ার পর উরুগুয়ে ও কোপা আমেরিকার গত দুইবারের চ্যাম্পিয়ন চিলিকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে এসেছে পেরু। গ্রুপ পর্বে দলটিকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিলেও আবার মুখোমুখি হওয়ার আগে তাদের সমীহ করছেন কাসেমিরো।
“দারুণ একটা ফাইনাল হবে। আসলেই কঠিন একটা ম্যাচ হবে। আমরা ভাবতে পারি না যে আমরা এটা জিতে গেছি।”
“বড় দলগুলোকে তারা ছিটকে দিয়েছে-উরুগুয়ে এবং চিলি। পেরুকে আমাদের শ্রদ্ধা করতে হবে।”
ব্রাজিলের রক্ষণে হুমকি হতে পারেন পেরুর ফরোয়ার্ড পাওলো গেররেরো। গত সাতটি বছর ব্রাজিলের ঘরোয়া ফুটবলে খেলা ৩৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড ২০১২ ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপের ফাইনালে করিন্থিয়ান্সের হয়ে চেলসির জালে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন।
বর্তমানে পোর্তো আলেগ্রের ক্লাব ইন্তারনাসিওনালে খেলা গেররেরোকে নিয়ে সতর্ক ব্রাজিলের সেন্টার-ব্যাক মার্কিনিয়োস।
“আমি তাকে ভালোভাবে জানি। করিন্থিয়ান্সে তার সঙ্গে কিছুদিন এবং জাতীয় দলের হয়ে তার বিপক্ষে কয়েকবারই খেলেছি আমি।”
“গেররেরো অতীতে যা করেছে তার জন্য সে বিশেষ গুরুত্ব পাওয়ার যোগ্য খেলোয়াড়।”