রিও দে জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রোববার রাত ২টায় শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই দল।
পেরুকে গ্রুপ পর্বে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু মারাকানা স্টেডিয়ামের ফাইনাল সামনে রেখে লেফট ব্যাক সান্দ্রো প্রতিপক্ষের প্রতি সমীহ দেখাচ্ছেন।
“প্রতিটি ম্যাচের একটা ভিন্ন ইতিহাস থাকে। ফাইনালে কেউ ফেভারিট নয়। ফাইনালে যে কোনো কিছু ঘটতে পারে।”
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল তৃতীয় স্থানে আছে। পেরুর অবস্থান ২১তম। ১৯৮২ সালের পর গত রাশিয়া বিশ্বকাপে প্রথম বিশ্বমঞ্চে খেলতে নেমেছিল দলটি।
কোপা আমেরিকার এবারের আসরে সবচেয়ে বেশি গোল করা দল ব্রাজিল (১০টি)। এখনও কোনো গোল হজম করেনি তারা।
পেরু অবশ্য উন্নতির মধ্যে আছে। গ্রুপে সেরা দুই তৃতীয় দলের একটি হয়ে কোনোমতে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠে আসা দলটি টাইব্রেকারে হারিয়েছিল উরুগুয়েকে। সেমি-ফাইনালে তারা ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় গত দুইবারের চ্যাম্পিয়ন চিলিকে। পেরুর বিপক্ষে আবার খেলাটা ভিন্ন হবে বলে মনে করেন এভেরতন।
“এটা সম্পূর্ণ আলাদা একটা ম্যাচ হবে। এ ম্যাচে প্রত্যাশাকে নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদেরকে ধাপে ধাপে কাজ করা এবং ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। আমরা দারুণ এক প্রতিপক্ষের মোকাবিলা করব এবং এ জন্য আমাদের প্রস্তুত হওয়া প্রয়োজন।”
উন্নতির মধ্যে থাকা পেরুকে নিয়ে সতর্ক হলেও দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী সান্দ্রো।
“আমাদের তরুণ কিন্তু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। চাপ যত বেশি তা আমাদের জন্য তত ভালো হবে। কিন্তু পরের ম্যাচে পেরুর প্রতি আমাদের আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে।”
লাতিন আমেরিকার ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে ব্রাজিল সর্বশেষ সাফল্য পেয়েছিল ২০০৭ সালে। ১৯৭৫ সালে সর্বশেষ শিরোপা জেতার পর তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য খেলবে পেরু।