বেলো হরিজন্তের মিনেইরো স্টেডিয়ামে বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায় ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে লাতিন আমেরিকার ফুটবলের দুই পরাশক্তি।
দুঙ্গার বিদায়ের পর তিতের অধীনে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে তিন ম্যাচ খেলেছে ব্রাজিল। দুটিতে জিতেছে। হেরেছে একটিতে। পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকলেও সংবাদ সম্মেলনে চাপ অনুভব করার কথা জানান তিতে।
“আমি আপনাদের বলছি, আমি অনেক প্রত্যাশা অনুভব করছি। আমি ঘুমাতে পারিনি এবং আজ রাতে আবারও ঘুমাতে পারব না।”
“ভোর ৩টা ১৫ মিনিটে আমি জেগে উঠলাম। ম্যাচ নিয়ে ভাবতে শুরু করলাম। নোট নেওয়ার অভ্যাস আছে আমার এবং তাই করলাম। এটাই কোচদের বাস্তবতা। আমার ক্ষেত্রে, স্কালোনির (আর্জেন্টিনা কোচ) ক্ষেত্রেও।”
বেলো হরিজন্তেতে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে উড়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। এখানেই ২০১৬ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতেছিল তারা। এসব পরিসংখ্যানের কোনো প্রভাব এবারের ম্যাচে থাকবে না বলেও মনে করেন তিতে।
“আর্জেন্টিনার বিপক্ষের জয়টি এখন আমাদেরকে কৃতিত্ব দিবে না এবং জার্মানির কাছে সেই হারটিও কোনো প্রভাব রাখবে না। এই মুহূর্তই মূখ্য। আমি আগে যেমন প্রত্যাশা অনুভব করেছি, এখনও একই রকম অনুভব করছি।”
তিতের মতো ঘুম কম হয়েছে কিনা এমন প্রশ্ন করা হয় লিওনেল স্কালোনিকেও। আর্জেন্টিনা কোচ জানান, ঘুম কম হওয়ার কথা তবে তা ‘প্রতিপক্ষ নিয়ে দুঃশ্চিন্তার কারণে নয়’।”