আগামী বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায় বেলো হরিজন্তেতে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে লাতিন আমেরিকার ফুটবলের দুই পরাশক্তি।
গ্রুপ পর্ব ও কোয়ার্টার-ফাইনাল মিলিয়ে এ পর্যন্ত খেলা চার ম্যাচে কোনো গোল খায়নি ব্রাজিল। শুরুর দুই ম্যাচে গোল হজম করলেও আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ উন্নতি করেছে; পরের দুই ম্যাচে গোল খায়নি তারাও।
জেসুসের মনে হচ্ছে বেলো হরিজন্তেতে জমাট লড়াই হবে। ব্রাজিলের রক্ষণভাগ আর্জেন্টিনাকে এক ইঞ্চি জায়গাও ছেড়ে দেবে না বলে জানান ম্যানচেস্টার সিটির এই ফরোয়ার্ড।
“গোল না খাওয়া আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ পার হওয়াটা আমাদের জন্য কঠিন। তবে অনেক দিন আমরাও গোল খাইনি। শক্ত রক্ষণভাগ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
প্রতিপক্ষের আগুয়েরো ও নিকোলাস ওতামেন্দি আবার জেসুসের ক্লাব সতীর্থ। দুজনের বিপক্ষে খেলা নিয়ে রোমাঞ্চিত ম্যানচেস্টার সিটির ফরোয়ার্ড জানালেন, ম্যাচের পর তাদের সঙ্গে মজা করার অপেক্ষায় আছেন তিনি।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে পাঁচটি শিরোপা নিয়ে সবচেয়ে সফল দল ব্রাজিল। আর্জেন্টিনার শিরোপা দুটি। তবে কোপা আমেরিকার পরিসংখ্যানে আধিপত্য আর্জেন্টিনার; ১৪টি শিরোপা তাদের। অন্যদিকে ব্রাজিলের শিরোপা ৮টি।
কোপা আমেরিকার সর্বোচ্চ ১৫টি শিরোপা জেতা উরুগুয়ের পাশে বসতে উন্মুখ হয়ে থাকা আর্জেন্টিনা সেমি-ফাইনালে আক্রমণাত্মক খেলবে বলে মনে করেন জেসুস। নিজেদের মাঠে খেলা চাপের বলেও দাবি করেন তিনি।
“এ দুটি দল পরাশক্তি, যাদের অনেক ইতিহাস আছে।”
“আমরা নিজেদের মাঠে খেলব এবং জয়ের জন্য আমাদের চাপ আরও বেশি। এটা আর্জেন্টিনার বিপক্ষে একটা ‘ক্লাসিকো’।”
পিএসজিতে খেলা ব্রাজিলের ডিফেন্ডার চিয়াগো সিলভা ও মার্কিনিয়োসের ভালোভাবে জানা আছে মেসির সামর্থ্য। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম লেগে ৪-০ গোলে জয়ের পর ফিরতি লেগে ৬-১ ব্যবধানে বার্সেলোনার কাছে উড়ে গিয়েছিল পিএসজি। মেসি করেছিলেন তৃতীয় গোলটি।
মেসিকে বিশ্বসেরা মেনে নিয়ে সিলভা জানালেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন যে কোনো মুহূর্তে।
“অবশ্যই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের ওপর আপনি যত বেশি মনোযোগই দিন না কেন, তা খুব বেশি কাজে আসে না। যখনই আমরা জাতীয় দলের হয়ে বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার বিপক্ষে খেলি, এটা কঠিন।”
“আপনি তাকে যতই বিশ্লেষণ করুন না কেন, কখনই বুঝতে পারবেন না কি পার্থক্য সে গড়ে দিতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে যে যা করবে বলে আপনি ভাববেন, দেখা যাবে সে এমন কিছু করবে যা আপনি প্রত্যাশা করেননি। এটাই হচ্ছে পার্থক্য।”
মুখোমুখি লড়াইয়ে ব্রাজিলের জয় ৪১টি। আর্জেন্টিনার ৩৮টি। বাকি ২৬ ম্যাচ ড্র। দুই দলের ১০৬তম ক্লাসিকো নিয়ে উন্মুখ হয়ে আছে সবাই। সিলভাও জানালেন রক্ষণভাগ আগলে রাখার প্রত্যয়।
“কিন্তু এটা এখন ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচ এবং আমাদের অংশটা আমরা আগলে রাখার চেষ্টা করব। অন্য কোনো দিন মেসির প্রশংসা করব।”