ব্রাজিলের সালভাদরে শনিবার শেষ কোয়ার্টার-ফাইনালে নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য ড্রয়ের পর পেরুর কাছে টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে হারে প্রতিযোগিতার রেকর্ড ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে।
টাইব্রেকারে সুয়ারেসের নেওয়া প্রথম শট ফেরান পেরুর গোলরক্ষক পেদ্রো গালেসে। এর আগে উরুগুয়ের সর্বোচ্চ গোলদাতা জাল খুঁজে পেলেও অফসাইডের কারণে গোল হয়নি। ভেঙে পড়া সুয়ারেসের পাশে দাঁড়ানো কাভানি মেনে নিচ্ছেন কঠিন বাস্তবতা।
“গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে গোল করতে না পারায় লুইস ভীষণ হতাশ কিন্তু এটাই ফুটবল এবং জীবন।”
“কখনও আপনি জিতবেন, কখনও হারবেন। আমরা এর আগে কোপা আমেরিকা জিতেছি কিন্তু আজ ছিটকে যাওয়াটা আমাদের মেনে নিতে হবে।”
সুযোগগুলো নষ্ট হওয়ায় হতাশ ডিফেন্ডার দিয়াগো গদিন।
“আমরা শুধু একটা গোল মিস করলাম। আমরা গোলের সন্ধানে ছিলাম কিন্তু এটা এলো না। যদি আমরা গোল করতে পারতাম, তাহলে ভিন্ন একটি ম্যাচ হতো।”
“আমরা ভালো খেললাম কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ছিটকে গেলাম। আমরা গোল করতে পারিনি। পেরু আমাদের চেয়ে ভালোভাবে পেনাল্টি শটগুলো নিয়েছে।”
২০১১ সালে সর্বশেষ কোপা আমেরিকার শিরোপা জেতা উরুগুয়ে এ নিয়ে টানা তিন আসরে সেমি-ফাইনালে উঠতে পারল না। ২০১৫ সালের চিলির কাছে হেরে কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে ছিটকে গিয়েছিল তারা। ২০১৬ সালে বিদায় নিয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকে।
শিরোপা জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে এসে কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ায় হতাশ উরুগুয়ে কোচ অস্কার তাবারেস।
“এটা ভীষণ একটা হতাশার বিষয়। কেননা আমরা শিরোপা জিততে এখানে এসেছিলাম।”
“আমাদের হার মেনে নিতে হবে এবং পেরুকে অভিনন্দন জানাতে হবে। কেননা, তারা নিয়মের বাইরে কিছুই করেনি। তারা ম্যাচটা ধীরগতির করার চেষ্টা করেছিল, কোনো ঝুঁকি নেয়নি, যেটা আমরা আগে অনেকবার করেছি।”