পোর্তো আলেগ্রেতে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টায় মুখোমুখি হবে দুই দল।
২০১১ সালে আর্জেন্টিনার আসরের কোয়ার্টার-ফাইনালে ব্রাজিলকে টাইব্রেকারে ২-০ গোলে হারিয়েছিল প্যারাগুয়ে। সেবার ফাইনাল পর্যন্ত উঠে উরুগুয়ের কাছে হেরেছিল তারা। চার বছর পর চিলির আসর থেকেও কোয়ার্টার-ফাইনালে ব্রাজিলকে তারা ছিটকে দিয়েছিল টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে জিতে।
পেনাল্টিকে ‘অন্যায্য’ উল্লেখ করে ম্যাচের ফল নির্ধারণে অন্য পথ খোঁজার বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে ভাবতে বললেন তিতে।
“পেনাল্টি শ্যুট-আউটের সময় আমি কখনই শান্ত অনুভব করব না। বিষয়টি নিয়ে কখনও আমার মনোভাবের বদল হবে না।”
“পেনাল্টি অন্যায্য। … আমি জানি না কিভাবে কিন্তু তাদের (কর্তৃপক্ষের) উচিত অন্য পথ খুঁজে বের করা।”
ম্যাচের আগে টাইব্রেকারের প্রস্তুতি খুব ভালোভাবে নিয়ে রাখছে ব্রাজিল। তিতের সহকারী ক্লেবার শাভিয়ের জানান, দল পেনাল্টি নিয়ে অনুশীলন করছে এবং টাইব্রেকারের জন্য কৌশল নিয়েও আলোচনা হবে।
ম্যাচের আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে প্যারাগুয়েকে সমীহ করতে ভোলেননি তিতে। সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে জিততে ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়বেন বলেও জানান তিনি।
“তারা খুবই আগ্রাসী। তারা অনেক গোল করেছে। তাদেরকে আটকাতে আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।”
“এটা একটা ভারসাম্য। গোল না আটকাতে পারলে অনেক স্ট্রাইকার নিয়ে খুব বেশি আক্রমণাত্মক হওয়ার কোনো মানে নেই। আবার আক্রমণে ওঠার সময় গোল খাওয়ার ভয় থাকাটাও ভালো নয়। অবশ্যই দলে ভারসাম্য থাকতে হবে।”
ফিলিপে কৌতিনিয়োকে প্লেমেকারের ভূমিকায় না খেলানোর কথাও বলেছেন তিনি।
“যখন আপনারা কৌতিনিয়োর কথা বলেন, তখন তাকে প্লেমেকার হতে হবে বলেন। কোনো দলের সেটা করা উচিত নয়, যদি তারা অতীতে ফিরে না যায়; যখন নাম্বার ১০-কে প্লেমেকার হতে হত।”
“ওটা পুরানো দিনের কৌশল। আমরা কি নিজেদের কাজগুলো একটু ভাগাভাগি করতে পারি? ভিন্ন প্লেমেকারদের নিয়ে আমরা পেরুর বিপক্ষে খুব ভালো করেছিলাম। ভিন্ন ভিন্ন খেলোয়াড়রা অবদান রাখছে।”