‘ছোট পেঁয়াজ’ এভেরতনের ফুটবলে মুগ্ধ ব্রাজিল

কোপা আমেরিকার আগে ব্রাজিলের বাইরে কম লোকই চিনতো গ্রেমিওর উইঙ্গার এভেরতনকে। তবে জাতীয় দলে গত কয়েক ম্যাচে আলো ছড়ানোয় ২৩ বছর বয়সী এই তরুণের নাম এখন ছড়ানোর পথে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 June 2019, 03:10 PM
Updated : 23 June 2019, 07:52 PM

পেরুকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া ম্যাচের ৩২তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন এভেরতন। জেতেন ম্যাচসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
 
পেরুর বিপক্ষেই প্রথম ব্রাজিলের হয়ে পুরো ম্যাচ খেললেন এভেরতন। গ্রুপ পর্বে আগের দুই ম্যাচে বদলি নেমে লেফট উইংয়ে আলো ছড়ানোয় পেরুর বিপক্ষে তার শুরুর একাদশে খেলা ছিল প্রত্যাশিত।
 
গায়ে ট্যাটু, সৈনিকদের মতো চুলের ছাঁট এবং খর্বাকৃতির এই উইঙ্গার বলিভিয়া ও ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচে ব্রাজিলের খেলায় বয়ে এনেছিলেন শিহরণ এবং প্রাণচাঞ্চল্য। দলটির সমর্থকরাও দাবি করতে থাকেন আরও বেশি ভূমিকা পালনের সুযোগ পাওয়া উচিত তার।
 
ব্রাজিলে এভেরতন সেবোলিনিয়া বা ‘ছোঁটো পেঁয়াজ’ নামে পরিচিত এ নামে দেশটির একটি কার্টুন চরিত্রের সঙ্গে তার সাদৃশ্যের জন্য। গতি, কাট করে দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার দক্ষতা, বাইলাইন থেকে কাটব্যাক, ক্রস বাড়ানোর পারদর্শিতা দিয়ে ঝাঁঝও দেখাচ্ছেন তিনি। কাটানোর সময় প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে ধোঁকা দেওয়া, সতীর্থদের উদ্দেশে বাড়ানো ব্যাকহিল দর্শকদের বিমোহিত করছে। দ্রুতই তাই সমর্থকদের মুখে ফিরছে তার নাম।
 
কোপা আমেরিকায় এ পর্যন্ত দুই গোল করা এভেরতন অবশ্য ব্যক্তিগত স্তুতি আমলে না নিয়ে দলীয় পারফরম্যান্সের প্রশংসা করলেন। পেরুকে উড়িয়ে দেওয়ার পর বললেন, “আমরা দারুণ খেলেছি, অন্য ম্যাচগুলোর মতো সুযোগ তৈরি করেছি তবে এই ম্যাচে সুযোগগুলো গোলে পরিণত হয়েছে।”


পেরুর বিপক্ষে ম্যাচে শুরুর দিকের গোল ব্রাজিলকে সঠিক পথে রেখেছিল। মাঝমাঠে দারুণ পারফর্ম করেন আর্থার এবং ফিলিপে কৌতিনিয়ো। ক্লাব ক্যারিয়ারে গত মৌসুম বার্সেলোনাতে মোটেও ভালো কাটেনি কৌতিনিয়োর। ছন্দ ফিরে পেতে লড়েছেন। কিন্তু কোপা আমেরিকা এসে তাকে বদলে যাওয়া এক খেলোয়াড় মনে হচ্ছে।
 
যদিও জয়টা পেরুর মতো দুর্বল দলের বিপক্ষে, এরপরও গত কয়েক বছরের মধ্যে ব্রাজিলের সবচেয়ে আত্মপ্রত্যয়ী ও রোমাঞ্চকর ফুটবলের কিছুটা কৌতিনিয়ো-এভেরতনরা সম্মিলিতভাবে মেলে ধরেছেন।
 
কোচ তিতে অবশ্য এককভাবে এভেরতনকে প্রশংসা করছেন না। তবে পোর্তো আলেগ্রেতে নিজ ক্লাব গ্রেমিওর মাঠে বাংলাদেশ সময় আগামী শুক্রবার সকালে হতে যাওয়া কোয়ার্টার-ফাইনালে শুরুর একাদশে খেলার ব্যাপারে আশ্বস্ত থাকতে পারেন এই ফরোয়ার্ড। চেনা আঙিনায় আলো ছড়াতে মুখিয়ে আছেন এভেরতনও।
 
“আমি অত্যন্ত খুশি। জাতীয় দলের হয়ে আমি সেখানে (গ্রেমিওর মাঠে) যাচ্ছি। সেখানকার প্রতি বর্গমিটার জায়গা আমি চিনি। আশা করি জাতীয় দলের হয়েও সেখানে আমি খুশি হতে পারব।”