আরও গোল করতে পারতো আবাহনী: কোচ

মানাং মার্সিয়াংদিকে উড়িয়ে দেওয়ার পর আবাহনী কোচ মারিও লেমোসও শিষ্যদের প্রশংসা ভাসালেন। আরও গোল করা যেত বলে আক্ষেপও ঝরলো পর্তুগিজ কোচের কণ্ঠে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 June 2019, 03:36 PM
Updated : 19 June 2019, 03:36 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার এএফসি কাপের দ্বিতীয় পর্বে আবাহনীর ৫-০ ব্যবধানের জয়ে একটি করে গোল করেন নাবীব নেওয়াজ জীবন, কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্ট, জুয়েল রানা, সানডে চিজোবা ও মামুনুল ইসলাম। দলের পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি লেমোস।

“আমরা শুরু থেকে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করেছি। আরও গোল পেতে পারতাম। তবে ৫-০ ব্যবধানে জেতায় আমি খুশি। কেননা, আমরা শীর্ষে উঠেছি এবং পরের রাউন্ডে ওঠার দরজায় দাঁড়িয়ে আছি।”

“প্রথম পর্বে ওদের মাঠে আমার ভাবনা ছিল, কোনোভাবে যেন পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারি। কিন্তু এবার আগে থেকে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। ছেলেরাও আজ সবাই নিজেদের খেলাটা খেলতে পেরেছে।”

পাঁচ ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে  ‘ই’গ্রুপের শীর্ষে উঠেছে মার্সিয়াংদির মাঠে প্রথম পর্বে ১-০ গোলে জেতা আবাহনী। একই দিনে মিনেরভা পাঞ্জাবের সঙ্গে ১-১ ড্র করে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছে চেন্নাইন এফসি।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা চিজোবা (১৪টি) মার্সিয়াংদির বিপক্ষে একাধিক সুযোগ নষ্ট করেন। প্রথম মিনিটে লক্ষ্যভ্রেষ্ট হেডের পর নাইজেরিয়ার এই ফরোয়ার্ড দ্বিতীয়ার্ধে এলেমেলো শটে হতাশা বাড়াতে থাকেন। অবশেষে ৭৬তম মিনিটে জাল খুঁজে পাওয়া চিজোবা জানালেন দিনটি তার ছিল না।

“আমার নামের পাশে অন্তত তিনটি গোল থাকতে পারত। কিন্তু পেলাম একটি। আসলে আজকের দিনটি আমার ছিল না। সতীর্থদের ধন্যবাদ। তারা বারবার আমাকে তাগাদা দিয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত গোল পেয়েছি।”

আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে লেমোস জানিয়েছিলেন টার্ফে খেলে অভ্যস্ত প্রতিপক্ষ ঘাসের মাঠে নিজেদের মেলে ধরতে পারবে না। জয়ের পর সে কথাও মনে করিয়ে দিলেন আবাহনী কোচ। তবে বড় হারের জন্য মার্সিয়াংদি কোচ চিরিং লোপসাং মাঠের চেয়েও প্রচণ্ড গরমকে দায় দিলেন বেশি।

“ছেলেরা অনেক ভুল করেছে। সেই ভুলের সুযোগ নিয়েছে আবাহনী। নিজেদের মাঠে আবাহনীও ভালো খেলেছে। আসলে প্রচণ্ড গরমের কারণে আমাদের ছেলেরা সামর্থ্যের ৩৫ শতাংশ খেলতে পেরেছে।”

“৫-০ গোলের হার খুবই হতাশার। আসলে প্রচণ্ড গরমের কারণে সবকিছু আমাদের জন্য খুব কঠিন হয়ে গিয়েছিল।”