নেপালের চ্যাম্পিয়নদের উড়িয়ে শীর্ষে আবাহনী

শুরু থেকে গোছালো ফুটবল খেলা আবাহনী লিমিটেডের কাছে পাত্তাই পেলো না মানাং মার্সিয়াংদি। ফরোয়ার্ডদের নৈপুণ্যে এএফসি কাপে নেপালের চ্যাম্পিয়নদের উড়িয়ে দিয়েছে মারিও লেমোসের দল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 June 2019, 01:51 PM
Updated : 19 June 2019, 03:32 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার গ্রুপ পর্বে দ্বিতীয় দেখায় ৫-০ গোলে জিতে আবাহনী। পাঁচ গোলদাতা নাবীব নেওয়াজ জীবন, কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্ট, জুয়েল রানা, সানডে চিজোবা ও মামুনুল ইসলাম। মার্সিয়াংদির মাঠে প্রথম পর্বে ১-০ গোলে জিতে প্রতিযোগিতা শুরু করেছিল বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা।

পাঁচ ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপে শীর্ষে উঠেছে আবাহনী। একই দিনে মিনেরভা পাঞ্জাবের সঙ্গে ১-১ ড্র করে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছে চেন্নাইন এফসি।

কিক অফের পরই বেলফোর্টের ক্রসে চিজোবার হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার হতাশা দূর হয় একাদশ মিনিটে। মার্সিয়াংদির ডিফেন্ডার শাহিদ আজিজের ভুলে বল পেয়ে একটু এগিয়ে কোনাকুনি শটে আবাহনীকে এগিয়ে নেন জীবন।

২১তম মিনিটে সুজল শ্রেষ্ঠার দূরপাল্লার শট ঠেকান শহীদুল আলম সোহেল। প্রথমার্ধ তো বটেই, ম্যাচেই আর আবাহনীর গোলরক্ষককে তেমন কোনো পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়নি।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে বেলফোর্টের একক প্রচেষ্টার দারুণ গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে আক্রমণে ওঠা হাইতির ফরোয়ার্ড তিন ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে নিখুঁত শটে জাল খুঁজে নেন।

দ্বিতীয়ার্ধেও মার্সিয়াংদির রক্ষণে চাপ ধরে রাখে আবাহনী। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগে আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা চিজোবা একের পর এক সুযোগ নষ্ট করতে থাকেন।

৬৩তম মিনিটে বেলফোর্টের ব্যাক হিল ধরে সোহেল রানা বল বাড়ান জুয়েলকে। প্লেসিং শটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন এই ফরোয়ার্ড। অবশেষে ৭৬তম মিনিটে জীবনের বাড়ানো বল জালে জড়িয়ে ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসেন নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড চিজোবা। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে ব্যবধান আরও বাড়ান মামুনুল।