মার্সিয়াংদির বিপক্ষে জয় ছাড়া কিছুই ভাবছে না আবাহনী

মানাং মার্সিয়াংদিকে হারিয়েই এএফসি কাপে শুভসূচনা করেছিল আবাহনী লিমিটেড। সেবার লড়াই হয়েছিল প্রতিপক্ষের মাঠে। এবার ম্যাচ নিজেদের মাঠে। আবাহনী কোচ মারিও লেমোস তাই আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী। নেপালের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে জয় ছাড়া কিছুই ভাবছেন না পর্তুগিজ এই কোচ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 June 2019, 01:19 PM
Updated : 18 June 2019, 01:41 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। মার্সিয়াংদির মাঠে প্রথম পর্বে ১-০ গোলে জিতেছিল আবাহনী।

‘ই’ গ্রুপে ৭ করে পয়েন্ট আবাহনী ও ভারতের দল চেন্নাইন এফসির। ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে মিনেরভা পাঞ্জাব। চার ম্যাচে দুই ড্রয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে তলানিতে মার্সিয়াংদি। আবাহনীর লক্ষ্য দ্বিতীয় পর্বে জিতে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে ওঠার।

চাওয়ার পূরণের প্রস্তুতিও বেশ ভালোভাবে নেওয়ার কথা আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে জানালেন লেমোস। লিগের সবশেষ ম্যাচে পাওয়া ৫-২ গোলের জয় দলকে আরও আত্মবিশ্বাসী করেছে বলে জানান এই পর্তুগিজ কোচ।

“ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। আরও ভালো বিষয় হচ্ছে, দুই দিন আগে লিগের শেষ ম্যাচে জিতেছি; এটা আমাদের ফিটনেসের আরও উন্নতিতে সাহায্য করেছে। মার্সিয়াংদির বিপক্ষে আগে খেলেছি, জানি তারা আগামীকাল কি করতে পারে। আমরা প্রস্তুত।”

“আবাহনীর জন্য এটা বড় ম্যাচ। আমরা হারতে পারি না। ড্রও করতে পারি না। আমাদের অবশ্যই জিততে হবে। যদি ম্যাচটা জিততে পারি, তাহলে আমরা পরের ধাপে যাওয়ার জন্য খুবই ভালো অবস্থানে থাকব।”

লিগে ১৪ গোল করে শীর্ষে থাকা আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা এএফসি কাপে গত চার ম্যাচে জাল খুঁজে পেয়েছেন মাত্র একবার। ১১ গোল নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা নাবীব নেওয়াজ জীবনের গোলও একটি। ফরোয়ার্ডদের গোলখরা নিয়ে অবশ্য খুব একটা চিন্তিত নন লেমোস।

“কেউ কেউ জিজ্ঞেস করছে, আমাদের ফরোয়ার্ডরা বেশি বেশি গোল করতে পারছে না। কিন্তু মূল কথা হচ্ছে জেতা। শৃঙ্খলাবদ্ধ ও সংগঠিত থেকে এগিয়ে যাওয়া। আমি মনে করি, এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ এবং আমরা জিততে আত্মবিশ্বাসী।”

চোট জর্জর দল নিয়েই এএফসি কাপে সর্বশেষ ম্যাচে চেন্নাইনকে ৩-২ গোলে হারিয়েছিল আবাহনী। চোট পিছু ছাড়েনি এখনও। ডিফেন্ডার তপু বর্মণ, মিডফিল্ডার আতিকুর রহমান ফাহাদের সঙ্গে ছিটকে গেছেন ওয়েলিংতন সেরিনো প্রিওরি। চেন্নাইনের বিপক্ষে খেলতে না পারা এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের সেরে ওঠার আশা ছিল কিন্তু তাকে নিয়েও সুসংবাদ দিতে পারেননি লেমোস। তবে রক্ষণভাগ নিয়ে একটু সতর্ক থাকলেও বর্তমান দল নিয়েই জিততে আশাবাদী তিনি।

“আমরা গতকালও রক্ষণ নিয়ে কাজ করেছি। আমাদের আরেকটু জমাট হতে হবে। আমরা লিগের চেয়ে এএফসি কাপে ভিন্নভাবে রক্ষণ সামাল দেই। সেখানে আমাদের রক্ষণ আরও আটসাঁটো থাকে।”

“তপু, ফাহাদের মৌসুম শেষ। ওয়েলিংতনকেও পাচ্ছি না। সেরে ওঠার জন্য তার আরও এক মাস লাগবে। একারণে সে চলে গেছে। তবে এদেরকে ছাড়াই আমরা চেন্নাইনকে হারিয়েছিলাম, তাদেরকে ছাড়া মার্সিয়াংদিকেও হারাতে পারব।”

নেপালের মাঠে খেলা হয়েছিল টার্ফে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হবে ঘাসে। এছাড়া গরমও ভাবাচ্ছে মার্সিয়াংদি কোচ চিরিং লোপসাংকে। তবে সব প্রতিবন্ধকতা পেছনে ফেলে ভালো ফল পেতে আশাবাদী দলটির কোচ।

“ঘুরে দাঁড়াতে আমাদের পরের ম্যাচ জিততে হবে। এখানকার প্রচণ্ড গরম নিয়ে আমি একটু চিন্তিত। আমরা মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। প্রথম পর্বে আমরা ভালো খেলেছিলাম কিন্তু একমাত্র সুযোগ কাজে লাগিয়ে জিতেছিল আবাহনী। এ কারণে আমি বিশ্বাস করি, আগামীকাল আমরা জিততে পারব।”